রাজধানীতে ৭৬ ভাগ সড়ক ৬ ভাগ মানুষের দখলে

রাজধানীতে ব্যক্তিগত গাড়ির সুবিধা ভোগ করেন মাত্র ছয় শতাংশ মানুষ। অথচ ৭৬ শতাংশ সড়কই তাদের গাড়ির দখলে থাকে।

তাই সড়ককে গতিশীল ও যানজটমুক্ত করতে গণপরিবহন সহজলভ্য করে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।

শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের ‘যানজটমুক্ত ঢাকার রূপরেখা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলা হয়।

এতে লিখিত বক্তব্য রাখেন ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের লিডার ফেলোশিপ প্রোগ্রামের নবম ব্যাচের ফেলো ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম সম্পাদক শাহিনুর নার্গিস।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকাকে যানজটমুক্ত করতে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে- মানসম্মত গণপরিবহন বৃদ্ধি, ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, পৃথক লেন নির্ধারণ, আধুনিক রেল যোগাযোগের ব্যবস্থা, জলপথ ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া, প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ, উপকূলবর্তী এলাকায় রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানা স্থানান্তর, মিশ্র নগর ব্যবস্থা, ক্ষুদ্র কুটির শিল্পের বিকাশ ইত্যাদি।

এ সময় রাজধানীর যানজট নিরসনে বেশ কিছু প্রস্তাব দেওয়া হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- গণপরিবহন সহজলভ্য করে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ন্ত্রণ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কোম্পানির নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা প্রবর্তন, ফুটওভার ব্রিজ, ফুটপাত দখলমুক্ত ও চলাচলের উপযোগী করা এবং ঢাকার পার্শ্ববর্তী চার জেলায় মানসম্মত ডেমু ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি করা।

এক পরিসংখ্যান উল্লেখ করে বলা হয়, রাজধানীতে ৯১টি ট্রেনের জন্য ছয়টি স্টেশন ও ৪২টি রেলক্রসিং পয়েন্ট রয়েছে। এর মধ্যে ১৯টি রেলক্রসিং সরকারি ব্যবস্থাপনায় থাকলেও ১৩টি বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সড়কের সঙ্গে যুক্ত ২০টি রেলক্রসিংয়ে স্বাভাবিক যান চলাচল করতে পারে না। তাই রেলক্রসিংয়ের ওপর ছোট ছোট ফ্লাইওভার নির্মাণ করে পরিবহন চলাচলের সুবিধা করা প্রয়োজন।

রাজধানীর চারপাশে চারটি নদী ও ভেতরে ৫২টি খালসহ মোট ১১০ কিলোমিটার নৌপথ রয়েছে। যানজট নিরসনে এগুলো দখল ও দূষণমুক্ত করে হাতিরঝিলের আদলে তৈরি করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন বিচারপতি সিকদার মকবুল হক ও ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের ডেপুটি প্রোগ্রাম ডিরেক্টর আমিনুল ইসলাম।