রাজধানীর বাজারে কোত্থেকে এল এত বড় মাছ?

‘দেখি দেখি ভাই, একটু সরেন।’

রাজধানীর ধানমন্ডির ২৭ নম্বরে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে লোকজনের জটলা দেখে সামনে এগিয়ে যাই।

জটলা পাকানো লোকজন একটু জায়গা করে দিতেই চোখ কপালে। শানবাধানো ফুটপাতে বাঁশের তৈরি খাঁচির ওপর ইয়া বড় এক বাঘা আইড়। ভারসাম্য রাখতে মাছটির মাথা ও লেজ এক দড়িতে বাঁধা।

গতকাল বুধবারই ধানমন্ডির এই সড়ক বৃষ্টির পানিতে থই থই করছিল। আজ শুকনো সড়কে মস্ত বড় বাঘা আইড় দেখে অনেকেই অবাক হয়। একরাশ বিস্ময় নিয়ে মাছের মালিকের কাছে দর্শনার্থীরা জানতে চান, কোত্থেকে এল এত বড় মাছ?

মাছের মালিক মো. সাইদুল। তিনি ব্যবসায়ী। বাড়ি গাইবান্ধার বালাশীঘাট। বড় মাছ ধরা পড়লে তা জেলের কাছ থেকে কিনে লাভের জন্য ঢাকায় নিয়ে আসেন এই মধ্যস্বত্বভোগী ব্যবসায়ী।

সাইদুল জানালেন, গতকাল সন্ধ্যার দিকে গাইবান্ধার যমুনা নদীতে এক জেলের জালে মাছটি ধরা পড়ে। প্রায় ৪৫ কেজি ওজনের মাছটি ৩০ হাজার টাকায় জেলের কাছ থেকে কিনে নেন সাইদুল। তারপর মাছ নিয়ে সোজা ঢাকায় চলে আসেন।

ধানমন্ডির ২৭ নম্বরে মাছটি নামানোর পর লোকজনের ভিড় জমে যায়। ইটপাথরের এই নগরে এত্ত বড় মাছ দেখে অনেকেই অভিভূত হন।

কেনার আগ্রহ ও সামর্থ্য থাকুক আর না-ই থাকুক, দর্শনার্থীরা মাছটির দরদাম করতে থাকেন। ব্যবসায়ী সাইদুলকে বারবার মাছের দাম বলতে বলতে হয়রান হতে হয়: ‘কেজি ৮০০ টাকা’, ‘কেজি ৮০০ টাকা’।

অনেকে হাতের তর্জনী দিয়ে একটু গুতো মেরে মাছটি পরখ করে দেখতে থাকেন।

বেলা দুইটার দিকে মুঠোফোন সাইদুলের সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, ধানমন্ডি এলাকার একটি অফিসের লোকজন ৩৬ হাজার টাকায় মাছটি কিনেছেন। তাঁরা সবাই ভাগ করে মাছটি নেবেন।

সাইদুল বলেন, তিনি জেলের কাছ থেকে মাছ কিনে তা আবার বিক্রি করেন। গাইবান্ধায় তাঁর ব্যবসা। তবে বড় মাছ পেলে তা ঢাকায় নিয়ে আসেন।