রাজধানীর বাজারে দাম বেড়েছে সবজির

সরবরাহে তেমন ঘাটতি না থাকলেও রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজারে মাত্র একদিনের ব্যবধানে ১০ থেকে ১২ টাকা বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন সবজি।

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যার অজুহাত দেখিয়ে ব্যবসায়ীরা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বেশি দাম নিচ্ছে এমন অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেট, নিউমার্কেট কাঁচাবাজার, জিগাতলা কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গতকালের তুলনায় আজ প্রতি কেজি বেগুণ ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হয়েছে ৬৫ টাকা, শসা ৫৫ টাকা। ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রতি পিচ ৪০ থেকে ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

নিউমার্কেট কাঁচাবাজারের বিক্রেতা আমির হোসেন জানান, প্রতি কেজি করলা ১২ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। ঢেঁড়স ৫ টাকা বেড়ে ৪৫ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, পটল ৫৫ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, কচুর লতি ১০ টাকা বেড়ে ৬০ টাকা, টমেটো ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা, কাচামরিচ দাম ১৬০ টাকা, লাউ প্রতি পিচ ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতিটি ৭০ টাকা, গাজর ৬৫, কাঁকরোল ১০ টাকা বেড়ে ৬০ টাকা, পুঁইশাক প্রতি আটি ২০ টাকা, লালশাক ১০ টাকা ও লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, ধনে পাতা আটি ১০ থেকে ১৫ টাকা।

নিউমার্কেটে কাঁচাবাজারে সবজি কিনতে আসা মোহাম্মদ ইকবাল জানান, গতকাল যে সবজি ৬০ টাকা দিয়ে কিনেছি তা আজ কিনতে হচ্ছে ৭০ টাকা দিয়ে। মাত্র একদিনের ব্যবধানে যদি এতটা দাম বাড়ে তাহলে বাজারে আসাটাই মুশকিল হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, দিন দিন সবজির বাজার সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। আরো কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সবজি, মাছ, মাংস থেকে শুরু করে সব ধরনের পণ্যের দাম এখন বেশি। সাধারণ মানুষকে নিত্যদিনের খাদ্যের চাহিদা মেটাতে অতিরিক্ত খরচ করতে হচ্ছে। বাজারে কোনো পণ্য সর্বোচ্চ কত দামে বিক্রি করা যাবে সে ধরনের কোনো বাধ্যবাধকতা না থাকায় মুনাফা করছে ব্যবসায়ীরা। এজন্য বাজারগুলোতে মনিটরিং বাড়ানো দরকার বলে মনে করছেন ক্রেতারা।

হঠাৎ দাম বাড়ার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে একই বাজারের বিক্রেতা আবদুল হামিদ মিয়া বলেন, এখন বর্ষার মৌসুম। এ সময় সবজির উৎপাদন কম হয়। এ কারণে দাম বেশি।

কারওয়ান বাজারের পাইকারী বিক্রেতা সাদিক হোসেন বলেন, ‘উত্তরবঙ্গ থেকে সবজি নিয়মিতই আসছে। বৃষ্টি হলে সরবরাহে বড় রকমের সমস্যা হয়। ট্রাকের মধ্যেই অনেক সবজি পচে যায়। আমরা নামাতেই পারি না। তা ছাড়া এখন বন্যার সময় হওয়ায় নিচু জমিগুলোতে উৎপাদন বন্ধ। এজন্য সবজির দাম বাড়তি।

এ ছাড়া বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১০৬ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল কেজি প্রতি ৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৫৫ টাকা, দেশি মুরগি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা পিস। লেয়ার মুরগি ২৪০ টাকা ও পাকিস্তানি লাল মুরগি আকারভেদে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।