রাজশাহীর ‘জঙ্গি আস্তানায়’ দমকল কর্মীসহ নিহত ৬

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ‘জঙ্গি আস্তানায়’ অভিযানে ৫ জঙ্গিসহ ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজশাহীর গোদাগাড়ী সার্কেলের সিনিয়র এএসপি মো. একরামুল হক ঘটনাস্থল থেকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিন জানান, জঙ্গিরা মারা যান আস্তানায় আত্মঘাতী বিস্ফোরণে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহত জঙ্গিদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে এদের মধ্যে গৃহকর্তা সাজ্জাদ আলী থাকতে পারেন। অভিযানে তার সাত বছরের ছেলে ও দেড় মাসের কন্যা শিশুকে উদ্ধার করা হয়। আস্তানার ভেতরে একজন ‘সুইসাইড ভেস্ট’ (আত্মঘাতী বন্ধনী) পরে অবস্থান করছেন।

এছাড়া দমকল কর্মী আব্দুল মতিন (২৯) বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। আব্দুল মতিন গোদাগাড়ী ফায়ার স্টেশনে কর্মরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি ওই উপজেলার মাটিকাটা ইউনিয়নের মাটিকাটা গ্রামে। তার মরদেহ রামেক হাসপাতাল মর্গে নেয়া হয়েছে।

এর আগে সকাল পৌনে ৮টার দিকে উপজেলার মাটিকাটা ইউনিয়নের হাবাসপুর মাছমারা বেনীপুরের ঘিরে রাখা জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় আত্মঘাতী বিস্ফোরণ হয়। দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জঙ্গিরা হামলা চালায় পুলিশ ও দমকল কর্মীদের উপর।

এসময় আরও আহত হন গোদাগাড়ী থানার সহকারী উপপরিদর্শক উৎপল (৩৫) ও পুলিশ কনস্টেবল তাজুল ইসলাম (৪০)। তারা বর্তমানে রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এদিকে এ ঘটনায় জঙ্গি আস্তানার আশেপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ নেওয়াজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জননিরাপত্তায় এ ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিপজুর আলম মুন্সি জানান, সকাল পৌনে ৮টার দিকে ঘিরে রাখা বাড়িটিতে পুলিশের উপস্থিতিতে পানি ছিটাচ্ছিলেন দমকল কর্মীরা। এসময় জঙ্গিরা বেরিয়ে হামলা চালায়। এক পর্যায়ে সেখানে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। পরে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এতে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। সেখান থেকে দুই শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে।

সেখানে এখনো অভিযান চলছে। ঘটনাস্থলের পাশে জেলা পুলিশ সুপার মোয়াজ্জেম হোসেন ভুইয়াসহ পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন। অভিযান শেষে বিস্তারিত জানানোর কথা জানিয়েছেন তারা।