রায়ের পর আ.লীগ তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠেছে : ফখরুল

ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

লন্ডনে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনা করে শুক্রবার বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক দোয়া মাহফিলে মির্জা ফখরুল ইসলাম এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, রায় ঘোষণার পরে আওয়ামী লীগ তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠেছে এবং তারা এমন সব মন্তব্য করেছে, যে মন্তব্য শুধু অশালীনই নয়, তা আদালত অবমাননার শামিল। গতকাল একজন মন্ত্রী যিনি নিজে হাইকোর্ট দ্বারা সাজাপ্রাপ্ত, তাঁর মন্ত্রিত্ব থাকা উচিত নয়, তিনি আবার প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ দাবি করেছেন। খুব চিৎকার করে কথা বলছেন।

ওই মন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আগে নিজের মুখের দিকে তাকান। নিজেদের চেহারা আয়নাতে দেখুন। আপনারা যেসব কথা বলছেন, কোথায় নিয়ে গেছেন রাষ্ট্রকে, কোথায় নিয়ে গেছেন দেশকে। সত্য কথা বেরিয়ে এসেছে আপিল বিভাগের রায়ের মধ্য দিয়ে। যে একটা দানবীয় সরকারের পরিণত হয়েছেন আপনারা, দানবের মতো সবকিছুকে ধ্বংস করে দিচ্ছেন, গণতন্ত্র ধ্বংস করছেন, প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করছেন, মানুষের মূল্যবোধকে ধ্বংস করে দিচ্ছেন।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের একটি বক্তব্যের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা বরাবরই দেখেছি, বাংলাদেশে ক্ষমতায় আসার জন্য এই দলটি (আওয়ামী লীগ) পেছন দরজা দিয়ে চেষ্টা চালায়। এবারও তারা জনগণকে ভুল বুঝিয়ে আবারও পেছনে দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসার ষড়যন্ত্র করছে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, তারা (সরকার) মনে করেছে আবারও ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো একটি একতরফা একদলীয় নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসবে।

এ সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম বিএনপির সদস্য সংগ্রহ অভিযানের মতো কর্মসূচিতেও বিভিন্ন জায়গায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘শুধু ক্ষমতাসীনেরাই হেলিকপ্টারে করে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। সবার জন্য লেভেল প্ল্যানিং ফিল্ড তৈরি করতে হবে, সমান্তরাল ভূমি তৈরি করতে হবে। তাহলেই নির্বাচনের একটি সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি হবে, আমরা নির্বাচনে যাওয়ার একটি পথ খুঁজে পাব।’

দোয়া মাহফিলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান, মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী প্রমুখ অংশ নেন।