রায় শুনে আত্মহত্যা করতে চাইলেন আদুরির নির্যাতনকারী

চার বছর আগে গণমাধ্যমে তোলপাড় করা গৃহকর্মী নির্যাতনের রায় প্রকাশের পর দায়ী গৃহকর্ত্রীর প্রতিক্রিয়ায় হতবাক হয়েছেন আদালতে উপস্থিত লোকজন। সাজাপ্রাপ্ত নওরিন জাহান নদী রায় শুনে উত্তেজিত হয়ে আত্মহত্যা করার কথা বলেছেন।

মঙ্গলবার ঢাকার ৩ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার আদুরিকে নির‌্যাতনের মামলায় আসামি নদীকে যাবজ্জীবন কারাদাণ্ডের পাশাপাশি এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন। ওই অর্থ আদায়ের পর তা নির্যাতিত কিশোরী আদুরিকে দিতে হবে। আর জরিমানা দিতে ব্যর্থ হলে আরও এক বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে নদীকে।

নদীর মা ইশরাত জাহানও এ মামলার আসামি ছিলেন। অপরাধে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দিয়েছেন বিচারক।

জামিনে থাকা ইশরাত জাহান রায়ের জন্য এদিন আদালতে উপস্থিত হয়েছিলেন। আর তার মেয়ে নদীকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায়ের পর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত নদীকে ফিরিয়ে নেওয়া হয় কারাগারে।

প্রত্যক্ষদর্শী জানান, রায় শুনে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা নদী উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তাকে কারাগারে নিয়ে যেতে চাইলে, তিনি উত্তেজিত হয়ে দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যকে বলেন, ‘আমাকে বাইরে নিয়ে চলো। আমি পাঁচতলা থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করবো।’

পরে তাকে সতর্কতার সঙ্গে আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

২০১৩ সালে ২৩ সেপ্টেম্বর মিরপুরের ডিওএইচএস-এর রাস্তায় ময়লা ফেলার ডাস্টবিন থেকে আদুরিকে (১১) উদ্ধার করে ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশ। পরে ২৬ সেপ্টেম্বর আদুরির মামা নজরুল ইসলাম চৌধুরী আসামিদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন।

আদুরি এখন শৈশবের দুঃসহ স্মৃতি ভুলে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। সে পড়ালেখা করছে। এখন তৃতীয় শ্রেণিতে পড়েছে সে।