রেইনট্রির বিরুদ্ধে শুল্ক ফাঁকির প্রমাণ মিলেছে

রেইনট্রি হোটেলের বিরুদ্ধে শুল্ক ফাঁকি ও ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মইনুল খান।

রেইট্রির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আদনান হারুনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ সোমবার বিকেল ৩টার দিকে সাংবাদিকদের এ কথা জানান মইনুল খান।

শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আরো বলেন, হোটেল থেকে উদ্ধার করা ১০ বোতল মদ ধর্ষণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

তবে রেইনট্রি হোটেলে কীভাবে মাদক প্রবেশ করেছে তা জানেন না বলে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন হোটেলটির এমডি আদনান হারুন।

এর আগে বেলা সোয়া ১১টার দিকে শুল্ক গোয়েন্দার কার্যালয়ে হাজির হন রেইনট্রির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ মোহাম্মদ আদনান হারুন। এ সময় তাঁর সঙ্গে চাচা মজিবুল হক কামাল, ফুপা আকবর হোসেন মঞ্জু, চাচাতো ভাই হাসিব রুমি এবং আইনজীবী জাহাঙ্গীর কবির ছিলেন।

দুপুর ১২টা থেকে অধিদপ্তরের যুগ্ম পরিচালক শফিউর রহমানের নেতৃত্বে একটি দল আদনান হারুনসহ চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

এর আগে ১৭ মে উপস্থিত হয়ে হোটেলে মদ রাখার ব্যাখ্যা দেওয়ার কথা ছিল আদনান হারুনের। কিন্তু অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সেদিন তিনি হাজির হননি। এ সময় তাঁর আইনজীবী জাহাঙ্গীর কবির অধিদপ্তরে হাজির হয়ে এক মাসের সময় চেয়ে আবেদন করেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৩ মে সশরীরে অধিদপ্তরে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে বলা হয়।

জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ এনে গত ৬ মে বনানী থানায় মামলা করেন এক ছাত্রী। মামলার আসামিরা হলেন আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ, নাঈম আশরাফ, সাদমান সাকিফ, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী রহমত আলী ওরফে আবুল কালাম আজাদ।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ২৮ মার্চ রাত ৯টা থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত আসামিরা মামলার বাদী এবং তাঁর বান্ধবী ও বন্ধু শাহরিয়ারকে আটক রাখেন। অস্ত্র দেখিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করেন। বাদী ও তাঁর বান্ধবীকে জোর করে ঘরে নিয়ে যান আসামিরা। বাদীকে সাফাত আহমেদ এবং বান্ধবীকে নাঈম আশরাফ ধর্ষণ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী ধর্ষণের মামলার পর গত ১৪ মে হোটেল রেইনট্রিতে অভিযান চালিয়ে ১০ বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার করে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর।

এ ঘটনায় গ্রেপ্তার সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ছাড়া আরেক আসামি নাঈম আশরাফকে গত বৃহস্পতিবার সাতদিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।