রোহিঙ্গা এলাকায় ভোটার হতে স্বজনদের পরিচয়পত্র লাগবে

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেছেন, দেশের যেসব এলাকায় রোহিঙ্গারা বসবাস করছে সেখানকার জনগণকে ভোটার হতে হলে বাবা-মা, ফুফু এবং চাচার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দেখাতে হবে। এসব এলাকার জনগণকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বিশেষ কমিটিও গঠন করা হয়েছে বলে জানান ইসি সচিব।

সোমবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত ভোটার তালিকা হালনাগাদ সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। সভায় সব বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সের প্রতিনিধি, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ইসি সচিব বলেন, ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গাদের ঢুকে পড়া রোধে বিশেষ এলাকা চিহ্নিত আছে। এর আগে ২০টি উপজেলা ছিল, এবার আরও ১০টি এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। এই ৩০ এলাকার জন্য বিশেষ কমিটি আছে। এসব এলাকার কার্যপরিধিতে কী কী বিষয় তারা দেখবেন তাও নির্ধারিত করা আছে।

সচিব বলেন, তিনটি ধাপে মোট ৭২ দিনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এরপর ২ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। ১ জানুয়ারি ২০০০ বা তার আগে যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবে এবার তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এছাড়া ভোটার তালিকা থেকে মৃত ব্যক্তিদের নাম বাদ দেয়া হবে।

তথ্য হালনাগাদের সময় নাম সংশোধন বা ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে পারবেন কিনা জানতে চাইলে সচিব বলেন, ১৩ নম্বর ফরম পূরণ করে ভোটার এলাকা স্থানান্তর করা যাবে। তথ্য হালনাগাদে নাম সংশোধনের বিষয়টি রাখা হয়নি। নাম বা অন্য যেকোনো তথ্য সংশোধনের জন্য নির্বাচন অফিসে যেতে হবে।

প্রসঙ্গত, আগামী ২৫ জুলাই থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু করবে ইসি। ময়মনসিংহ থেকে এই কাজের উদ্বোধন করা হবে।