লাখ টাকা পেয়ে ফিরিয়ে দিলেন কনস্টেবল

সড়কে কুড়িয়ে পাওয়া এক লাখ টাকার ব্যাগ পেয়ে তা মালিককে ফিরিয়ে দিয়েছেন আবদুল গণি নামের পুলিশের এক কনস্টেবল। সততার পরিচয় দেওয়া আবদুল গণি যশোর কোতোয়ালি থানার চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত আছেন।

বুধবার সন্ধ্যায় যশোর কোতোয়ালি থানায় হারানো টাকার মালিককে ডেকে ওই টাকা ফেরত দেওয়া হয়। এ সময় কোতোয়ালি থানায় পরিদর্শক (অপারেশন) মো. শামসুদ্দোহা, উপপরিদর্শক (এসআই) মঞ্জুরুল করিম উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কনস্টেবল আবদুল গণি বলেন, ‘গত মঙ্গলবার বিকেলে শহরের রেল সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় টিবি ক্লিনিক মোড়ে পলিথিন ব্যাগে মোড়ানো এক লাখ টাকা কুড়িয়ে পাই। দুই ঘণ্টা পরে ওই সড়ক দিয়ে আবার ফেরার সময় দেখি, ৫০ থেকে ৬০ জন মানুষ জড়ো হয়ে কি যেন খোঁজ করছেন। পাশে একজনের মাথায় পানি ঢালা হচ্ছে। কৌতূহলবশত এগিয়ে জানতে পারি, মাথায় পানি ঢালা ওই ব্যক্তিই এক লাখ টাকা হারিয়ে ফেলেছেন। টাকার ব্যাগের বিবরণ শুনে পরদিন বিকেলে তাঁকে থানায় ডেকে ওই টাকা ফিরিয়ে দিয়েছি।’

টাকার মালিক আবদুর রহিম নড়াইল জেলা শহরের কুড়িগ্রাম এলাকার মুন্নু শেখের ছেলে। তিনি নড়াইল রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল লেখকের কাজ করেন।

আবদুর রহিম সাংবাদিকদের বলেন, পুরোনো একটি মোটরসাইকেল কেনার জন্য এক লাখ টাকা নিয়ে তিনি যশোর শহরে আসেন। যশোর শহরের রেল রোড টিবি ক্লিনিক মোড়ে অমল মোটরসাইকেল গ্যারেজে থাকা পুরোনো মোটরসাইকেল দেখছিলেন তিনি। তাঁর কোমরে একটি ছোট ব্যাগের ভেতরে ওই এক লাখ টাকা ছিল। অসাবধানতাবশত কোমর থেকে ব্যাগটি পড়ে যায়। পরে টাকার ব্যাগ না পেয়ে তিনি আশপাশে খোঁজ শুরু করেন। তাঁর সঙ্গে স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও ওই টাকা খুঁজতে থাকেন। পরে পুলিশের ওই কনস্টেবল বলেন, ‘টাকা আছে আপনি শান্ত হন।’ পরে থানায় ডেকে ওই টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ কনস্টেবল আবদুল গণি বলেন, ‘টাকা পাওয়ার বিষয়টি আমি যশোরের পুলিশ সুপার আনিসুর রহমানকে জানাই। এসপি স্যার প্রমাণ সাপেক্ষে টাকাগুলো ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।’