‘লাল ব্যাগ’কে সংকেত হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন রাম রহিম!

দোষী সাব্যস্ত হতে যাচ্ছেন, সম্ভবত আগেই আভাস পেয়েছিলেন ২০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ভারতের ভন্ড ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিং। আর সে ধারণা মাথায় রেখে পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ করে তোলার জন্য পরিকল্পনা সাজিয়ে রেখেছিলেন এ স্বঘোষিত ধর্মগুরু।

ভারতের পুলিশের দাবি, সমর্থকদের মধ্যে উসকানি তৈরি করে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পাঁয়তারা করেছিলেন রাম রহিম। বিভিন্ন সংকেত ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। উত্তেজনা তৈরি করতে স্বয়ং রাম রহিমই লাল রংয়ের একটি ব্যাগকে সংকেত হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন।

ব্যাগটি ছিল তার পালিত মেয়ে হরপ্রিতের হাতে। তবে শেষ পর্যন্ত সফল হননি স্বঘোষিত এ ধর্মগুরু। বুধবার ভারতীয় পুলিশের মহাপরিদর্শক কে কে রাও এসব কথা জানিয়েছেন। কে কে রাও এর বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, ২৫ আগস্ট সম্ভ্রমহানীর মামলায় রাম রহিমকে দোষী সাব্যস্ত করেন পাঁচকুলার আদালত। এরপর পরই রাম রহিমের সমর্থকরা রাস্তায় নেমে আসেন এবং তাকে দোষী সাব্যস্ত করার প্রতিবাদে পাঁচকুলা ও সিরসায় তাণ্ডব শুরু করেন।

ওই ঘটনায় ৩৮ জন নিহত হয়। আদালেত প্রাঙ্গণ থেকে রাম রহিমকে ছিনিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে গ্রেফতার হন কয়েকজন সমর্থক। পুলিশের মহাপরিদর্শক কে কে রাও এর বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, এসব পরিকল্পনা আগে থেকেই সাজিয়ে রাখা হয়েছিল। রাম রহিমকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণার পরে আদালত কক্ষে একটি লাল ব্যাগ চেয়ে পাঠান ডেরা প্রধান। তিনি দাবি করেন, ওই ব্যাগে তার কাপড়চোপড় আছে।

তবে পুলিশ বলছে, ওই লাল ব্যাগই ছিল রাম রহিমের সংকেত। এটি প্রকৃতপক্ষে তার সমর্থকদের জন্য সংকেত ছিল। এর মধ্য দিয়ে তিনি যে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তা সমর্থকদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ ছিল, যেন সমর্থকরা উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি করতে পারেন। ওর গাড়ি থেকে যখন ব্যাগটি নামানো হলো তখনই ২-৩ কিলোমিটার দূর থেকে টিয়ার গ্যাস শেলের শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল। তখনই আমরা বুঝে গেলাম এ সংকেতের পেছনে কোনও অর্থ আছে।