‘শালিখার সীমাখালী-হরিশপুর পাকাঁ রাস্তাটি চলাচলের সম্পূর্ন অনুপযোগী হয়ে পড়েছে’

মাগুরা প্রতিনিধি : শালিখার সীমাখালী-হরিশপুর ভায়া কাদিরপাড়ার চিত্রা নদীর ব্রিজ পর্যন্ত পাকাঁ রাস্তাটি এখন চলাচলের সম্পুর্ন অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

৬ মাস পুর্বে বিগত ১৩ ফেব্রুয়ারী অতিরিক্ত মালবাহী দুটি ট্রাক পারাপারের সময়ে সীমাখালীতে পুরাতন ব্রীজটি ভেঙ্গে পড়ার পর প্রায় ৫ মাস যশোর-মাগুরা-ঢাকা মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। বেড়েছে জনভোগান্তি। ঐ সময়ে যশোর-মাগুরা-ঢাকা মহাসড়কে চলাচলগামী সব ধরনের যানবাহন সীমাখালী হয়ে প্রেমচারার সরু পাকাঁ রাস্তা ধরে ৪ কি:মি: পথ ঘুরে বড় খুদড়ার ব্রিজ পার হয়ে রাঘবপুর এসে মহাসড়কে মিশে চলাচল করতে থাকে। প্রচন্ড ভারী যানবাহনের চাপে ঐ সময়েই এ পাকাঁ রাস্তাটি ভেঙে চুরমার হয়ে চলাচলের সম্পুর্ন অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এর পরে সীমাখালী-চতুরবাড়ীয়া হয়ে খাজুরায় উঠে মহাসড়কের সব ধরনের যানবাহন চলাচল করতে থাকে। এ রাস্তাটিও ভেঙে চুরমার হয়ে চলাচলের সম্পুর্ন অনুপযোগী হয়ে পড়ে। দুটি রাস্তাই অচল হওয়ার পর সীমাখালী শালিখা- ঘুরে ধলগ্রাম ও নারিকেলবাড়ীয়া হয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচল করতে থাকে ।

এ সময় শালিখা বেইলি ব্রিজে ফাটল দেখা দিলে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।বিগত ১৮মে নারিকেলবাড়ীয়ার চিত্রা নদীর উপর নির্মিত সেতুটি উদ্বোধনের পর সীমাখালী-হরিশপুর ভায়া কাদিরপাড়ার চিত্রা নদীর ব্রিজ পার হয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচল শুরু করলে হরিশপুরÑ কাদিরপাড়ার চিত্রা নদীর ব্রিজ পর্যন্ত এই ৩ কিঃমিঃ রাস্তা ভেঙে একেবারেই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে।এর উপর হরিশপুর গ্রামের মাঝের একটি ব্রিজ ভেঙে পড়ায় মানুষের মরন ফাঁেদ পরিনত হয়েছে। রাস্তাটি ও ব্রিজটি দ্রুত সংস্কার না করায় মানুষের দুর্ভোগের অন্ত নেই। সীমাখালীর বেইলি ব্রিজটি গত ২২ জুন চালু হলে সব ধরনের যানবাহনের চাপ কমায় এই রাস্তাটি যেন হাফ ছেড়ে বাঁেচ। সীমাখালীর বেইলি ব্রিজটি চালু হওয়াই যানবাহনের চাপ কমেছে বটে,কিন্তু তার আগেই রাস্তাটির প্রাঁন অক্কা পেয়েছে।

নারিকেলবাড়ীয়ার চিত্রা নদীর উপর নির্মিত সেতুটি উদ্বোধনের পর যশোর, নড়াইল, বাঘারপাড়া, অভয়নগর, খুলনা, নোয়াপাড়াসহ দক্ষিনাঞ্চলের সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের শালিখা, মাগুরা, ফরিদপুরসহ বিভিন্ন অঞ্চলের একটা সেতুবন্ধন গড়ে উঠেছে।

সে কারনেই এই পথে বর্তমান মানুষের চলাচল বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই এই রাস্তা ও ভাঙা ব্রিজটি দ্রুত সংস্কার করার জন্য সর্বস্তরের মানুষ কর্তৃপক্ষের কাছে সবিনয় অনুরোধ জানিয়েছেন।