শিক্ষক স্বামীর বর্বরতা : যৌতুক না পেয়ে আইনজীবী স্ত্রীকে নির্যাতন

চাঁদপুরে যৌতুকের জন্য আইনজীবী স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতন করেছেন সরকারি কলেজের এক শিক্ষক। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ।

কুলসুম বেগম (৪০) পেশায় আইনজীবী। চাঁদপুরের আদালতে তিনি প্র্যাকটিস করেন। বাসা শহরের ষোলঘর এলাকায়। আট বছর আগে মতলব পৌরসভার বোয়ালিয়ার মৃত কাজিমউদ্দিন সর্দারের ছেলে কলেজ শিক্ষক মুসলিম সর্দারের (৪০) সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। তাঁদের সংসারে এক বছরের একটি মেয়ে রয়েছে।

কুলসুমের বড় বোন রোকেয়া বেগম অভিযোগ করেন, যৌতুকের দাবিতে তাঁর বোনকে মাঝেমধ্যে মারধর করলেও গত শুক্রবার মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। মুসলিম তাঁর পরিবারের লোকজনকে নিয়ে স্ত্রীকে অমানবিক নির্যাতন করেন। দুই দিন বাসায় বন্দি করে রাখেন।

ওই নারীর আত্মীয় হুমায়ুন কবির সুমন জানান, শনিবার রাতে এ খবর পেয়ে তিনিসহ অন্যরা কুলসুমকে উদ্ধার করেন। পরে তাঁকে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় ঘটনার জন্য দায়ী স্বামীকে তাঁরা আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।

চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার সবুজ কুমার পাত্র জানান, সারা শরীরে মারাত্মক আঘাতের চিহ্ন থাকায় রোগীকে কেবিনে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তা ছাড়া চোখ, ঘাড়, পিঠ ও হাঁটুতে মারাত্মক জখম এবং মাথায়ও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

এদিকে ঘটনার জন্য দায়ী কলেজ শিক্ষকের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন জাতীয় মহিলা পরিষদ চাঁদপুর জেলা শাখার সভানেত্রী নীলা মজুমদার।