‘শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার দায় সরকারকে নিতে হবে’

পরীক্ষার দাবিতে ঢাকার সাত কলেজের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

তিনি বলেন, পরীক্ষার দাবিতে ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনে পুলিশ গুলি, টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে তিতুমীর কলেজের ছাত্র সিদ্দিকুর রহমানের দুই চোখের মনি উড়িয়ে দিল। এটা কোনো রাজনৈতিক আন্দোলন ছিল না। এর দায় সরকারকে নিতে হবে।

রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী পদে শেখ হাসিনাকে রেখে একাদশ নির্বাচন ‘প্রহসন’ হবে বলে মন্তব্য করে ড. মোশাররফ বলেন, ‘এদেশের জনগণ আপনাকে (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) বিশ্বাস করে না। বিএনপিসহ দেশের বহু রাজনৈতিক দলের আপনার ওপর আস্থা নেই। আগামী সংসদ নির্বাচনের সময়ে আপনি যদি ক্ষমতায় থাকেন সেই নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে না। সেটা ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো প্রহসন এবং গণতন্ত্রকে হত্যার নির্বাচন হবে।’

তিনি আরও বলেন, একাদশ নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সমঝোতার মাধ্যমে প্রয়োজন সংবিধান সংশোধন। সহায়ক সরকার না হলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) রোডম্যাপ অকার্যকর হবে।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে ‘নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠনে নাগরিক প্রত্যাশা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়।

সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন কবির ব্যাপারীর সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সুকোমল বড়ুয়া, এনডিপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মঞ্জুর হোসেন ঈসা প্রমুখ।

সংবিধানের দোহাই দিয়ে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের নামে ‘নৈরাজ্য’ সৃষ্টির পায়তারা হচ্ছে এমন অভিযোগ করে মোশাররফ বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার এখন জনগণের দাবি। এটা বড় কোনো দাবি নয়, এটা আমাদের অধিকার। আমরা একটা প্রস্তাব দেবো-সরকার বলবে মানি না। তারা (সরকার) বলবে, আমাদের অধীনে নির্বাচন করতে হবে-আমরা বলবো মানি না। এদেশের জনগন সেজন্য উত্কণ্ঠিত যে, একাদশ নির্বাচন নিয়ে আবার একটা নৈরাজ্য সৃষ্টির পায়তারা হচ্ছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। নানাবিধ ষড়যন্ত্র হচ্ছে।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, আমাদের নেত্রী চিকিত্সা শেষে দেশে ফিরে উপযুক্ত সময়ে সহায়ক সরকারের প্রস্তাব দেবেন। আমাদের বিশ্বাস, ওই প্রস্তাব সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করবে। নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের ব্যাপারে সমঝোতা না হলে আন্দোলনের মাধ্যমে এর ‘ফয়সালা’ হবে বলেও হুশিয়ারি দেন তিনি।

নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের বিষয়ে ফয়সালা না হলে নির্বাচন কমিশনের রোডম্যাপ কোনো ভুমিকাই রাখতে পারবে না বলে দাবি করেন বিএনপির এ নীতিনির্ধারক।