শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে স্ত্রীর প্রেমিকের হাতে খুন!

নরসিংদীতে স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার পথে স্ত্রীর প্রেমিকের হাতে সুজন নামের যুবক খুন হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

শনিবার সন্ধ্যায় প্রেমিক তানজীদ আহম্মেদকে গ্রেফতারের পর খুনের দায় স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

তানজীদ নরসিংদী আইডিয়াল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র। সে রাজাদী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ফেরদৌস মিয়ার ছেলে।

গত বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার চিনিশপুর কালিবাড়ির সংলগ্ন এলাকায় এ খুনের ঘটনা ঘটে।

নিহত সুজন সাহা (৩৪) ঢাকা পীরেরবাগ এলাকার বিমল সাহার ছেলে। স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমের জের ধরে এ নির্মম হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয় বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

নিহতের বড় বোন সীমা সাহা জানান, প্রায় ৫ মাস আগে নরসিংদীর রাজাদী এলাকার কাশীনাথ সাহার মেয়ে অদিতি সাহাকে বিয়ে করে সুজন। বিয়ের পর থেকেই অদিতি শাশুড়ির মোবাইল নিয়ে দীর্ঘ সময় আড়ালে গিয়ে কথা বলেন। এরপর সুজন স্ত্রীকে ১৫ হাজার টাকায় একটি মোবাইল ফোন কিনে দেন। এরপর থেকে বাথরুমে ঢুকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলেন অদিতি। এতে বাড়ির সবাই বিরক্ত হয়ে তার কাছ থেকে মোবাইল কেড়ে নিয়ে যায়। এতে স্বামী-শাশুড়ির সঙ্গে অদিতির মনোমালিন্য শুরু হয়।

বুধবার অদিতি নিজের গহনা ও সকল কাপড়-চোপড় নিয়ে মনসা পুজার নাম করে বাবার বাড়ি উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যায়।

পরে বাধ্য হয়ে স্বামী সুজন তাকে নিয়ে বাবার বাড়িতে আসেন। রাতে ট্রেন থেকে নেমে সাড়ে ১১টার দিকে রিকশাযোগে রজাদী যাবার পথে চিনিশপুর কালি বাড়ির অদূরে অদিতির প্রেমিকসহ কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাদের পথরোধ করে। অদিতিকে ছেড়ে দিয়ে স্বামী সুজনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। তার চিৎকারে পথচারী ও পার্শ্ববর্তী কালি বাড়ির লোকজন এসে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তানজীদ ও অদিতি সাহা পাশাপাশি এলাকায় বসবাস করত। দীর্ঘদিন যাবৎ তাদের মধ্যে গোপন প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল বলেও জানান সদর থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাপস কান্তি রায়।

তিনি জানান, আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে খুনের রহস্য উদঘাটনে কাজ করে যাচ্ছি। শিগগিরই আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে।