শ্বাসরোধে হত্যার পর ড্রামে ভরা হয় লাশ!

টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলায় ২৩ আগস্ট ড্রামের ভেতর থেকে উদ্ধার করা যুবকের লাশটি মেজু আহমেদের (৪৩)। ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের কারণে সাভারের এই পোলট্রি ব্যবসায়ীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর ড্রামে ভরে ফেলে দেওয়ার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন আরেক পোলট্রি ব্যবসায়ী সবুজ দেওয়ান (৩০)।

গতকাল বুধবার টাঙ্গাইলের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম রুপম কান্তি দাসের আদালতে সবুজ ১৬৪ ধারায় এই জবানবন্দি দেন।

গতকাল রাতে সখীপুর থানায় বসে মেজু আহমেদের স্ত্রী হেনা আক্তার অভিযোগ করেন, ‘সবুজকে আমি প্রথমেই সন্দেহ করে পুলিশকে জানাই। কারণ, আমার স্বামীর ব্যবসায়িক শত্রু ছিলেন সবুজ। তাঁকে ভয়ংকর লোক হিসেবে সবাই চেনে। আমার স্বামীর ব্যবসায়িক উন্নতি সবুজ সহ্য করতে পারেনি। সবুজ এর আগে আমার স্বামীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটিয়েছেন।’

পুলিশ জানায়, গত মঙ্গলবার ঢাকার আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার নিজ ব্যবসাস্থল থেকে সখীপুর থানার পুলিশ সবুজ দেওয়ানকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করে। তাঁর স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ওই দিনই লাশ বহনকারী পিকআপের চালক মতিউর রহমানকে (৩৫) টাঙ্গাইলের কালিহাতী থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে গতকাল বুধবার তাদের আদালতে হাজির করা হয়।

সবুজ দেওয়ানের বাড়ি সাভারের আশুলিয়া থানার বাদাইল দক্ষিণপাড়া এলাকায়। মতিউর রহমানের বাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার দুধসর গ্রামে।

পুলিশ ও নিহত মেজু আহমেদের পারিবার বলছে, গত ২০ আগস্ট দুপুরে মেজু আহমেদ ব্যবসায়িক কাজে দুই লাখ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে আশুলিয়ার জামগড়ার বাসা থেকে বের হন। পরে খোঁজ না পেয়ে ওই রাতেই তাঁর স্ত্রী হেনা আক্তার আশুলিয়া থানায় নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এর তিন দিন পর গত ২৩ আগস্ট বুধবার টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কালিয়া ঘোনারচালা এলাকার ঢাকা-সাগরদিঘী সড়কের পাশে একটি প্লাস্টিকের ড্রামের ভেতর মেজু আহমেদের লাশ পাওয়া যায়।

মেজু আহমেদের বাড়ি জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার গাঁওকুঁড়া গ্রামে। ছয় বছর আগে তিনি সাভারে এসে পোলট্রি ব্যবসা শুরু করেন। শুরুতে সবুজ দেওয়ান পোলট্রি ব্যবসার অংশীদার ছিলেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সখীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুজিবুর রহমান বলেন, খুব শিগগিরই এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।