ষষ্ঠ মহাধ্বংসের মাঝে পৃথিবী, এমনটি পৃথিবীর ইতিহাসে আরো পাঁচবার ঘটেছিল

ইতিহাস দর্শনে এক ভয়াবহ সত্যকে সব সময়ে একটু আড়ালে রাখা হয়। কারণ, মানুষ এই সত্য জানলেও তা মানতে চায় না। সত্যটা হলো, মানুষ এখন নিজের সাথেই যুদ্ধ করছে। নিজেদের বেঁচে থাকার অবলম্বনকে ধ্বংস করছে। হানাহানি আর ধ্বংসের এই কর্মকাণ্ডে বাস্তব জীবন হারিয়ে যাচ্ছে। এমনটি পৃথিবীর ইতিহাসে আরো পাঁচবার ঘটেছিল বলে বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন। প্রতিবারই জীবের মহাধ্বংস হয়েছে। তারা বলছেন, এখন ষষ্ঠ মহাধ্বংসের মাঝ দিয়ে চলছে বিশ্ব। এর শেষ হবে তখন, যখন ধ্বংসলীলা সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছবে। সেই চূড়ার আকার-প্রকার-চিত্র অন্য পাঁচটি ধ্বংসলীলার চেয়ে একেবারেই পৃথক হবে।

এই পার্থক্য নির্ণয়ের চেষ্টায় নিরত বিজ্ঞানীরা। কেউ কেউ বলছেন ‘বর্তমানের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং বাস্তব জীবনের যে নানা সঙ্ঘাত এবং সংঘর্ষ নানা পর্যায়ে চলছে সেটাই এই ধ্বংসলীলার অংশ।’ অতীতের ধ্বংসযজ্ঞগুলো এমনভাবেই শুরু হয়ে প্রকৃতির সাথে মিশে যে তাণ্ডবলীলা চালায়, তাতে পরিবেশ এবং বাস্তবজীবনের ধ্বংস হয়। লক্ষাধিক বছর পরে ধীরে ধীরে জীবনের সঞ্চয় হতে থাকে। এবারও তেমনি হবে, তবে এর প্রধান খেলোয়াড় হবে মানুষ নিজেই।

সম্প্রতি তিন বিজ্ঞানী এর বিশদ বিবরণ তুলে ধরে একটি অনুসন্ধানী রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন। ড. জেরার ডো সেবালোস, ড. পল আর এরলিস্ক ও ড. বডোলফো ডিরজো তাদের ‘বায়োলজিক্যাল এনিহিলেশন ভায়া দ্য অনগোয়িং সিক্স মাস এক্সটিঙ্কশন সিগন্যাল্ড বাই ভারটাব্রেট পপুলেশন লসেস অ্যান্ড ডিকলাইনস’ শীর্ষক অনুসন্ধানে দেখিয়েছেন এই ধ্বংসের প্রচণ্ড গতি।
এরা বিশ্বের ২৭,৬০০ মেরুদণ্ডী প্রাণীর জীবনযাত্রা বিশ্লেষণ করেন। এ ছাড়া ১৯০০ এবং ২০১৫ মধ্যে ১৭৭টি স্তন্যপায়ী প্রাণী জাতিরও সমীক্ষা করেন। এতে তারা দেখতে পান এসব জাতি দ্রুত হারিয়ে যাচ্ছে। এদের ৩৫ ভাগ অর্থাৎ ৮৮৫১ জাতি দ্রুত কমে গেছে। আর স্তন্যপায়ীদের ৪০ ভাগ জাতি কমে যাচ্ছে। অর্থাৎ বিশ্বে মেরুদণ্ডী প্রাণীর সংখ্যা কমে যাওয়ায় পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা যাচ্ছে। ‘এর ফলে সভ্যতা বাঁচিয়ে রাখাও একসময় দুষ্কর হয়ে পড়বে।’

তারা এই সঙ্কোচন পদ্ধতিকে ‘জীবের মহাধ্বংস’ (বায়োলজিক্যাল এনিহিলেশন) বলে বর্ণনা করেছেন। এই ধ্বংসে প্রাথমিক পর্যায়ে মানুষকে তেমনভাবে স্পর্শ না করলেও এর প্রভাব পড়বে ব্যাপকভাবে মানব জীবনযাত্রার ওপর। সভ্যতার বিকাশে পরিবেশ ক্রমেই সঙ্কুচিত হয়ে পড়ছে। আপাতদৃষ্টিতে সভ্যতার বিকাশে পরিবেশের চেয়ে প্রযুক্তি বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলেও আসলে এই প্রযুক্তিও সহায়ক পরিবেশ ছাড়া সম্ভব নয়। তাই বিজ্ঞানীরা বলছেন, বর্তমান সভ্যতা হঠাৎ করেই বিশাল অবস্থার মুখোমুখি হবে, যা শুধু ধ্বংসের দিকেই টেনে নেবে।

জীবকুলের ধ্বংসে বিশদ বিবরণ দিয়ে এই তিন বিজ্ঞানী দৃষ্টান্ত হিসেবে সিংহের কথা উল্লেখ করেছেন। একদা এরা আফ্রিকা, দক্ষিণ ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্য হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব ভারতের তীরভূমি পর্যন্ত বিচরণ করত। এখন এরা হারিয়ে গেছে। সামান্য কিছু সিংহ উপসাহারা আফ্রিকা এবং ভারতের গির জঙ্গলে বাস করছে, তবে তাদের সংখ্যাও দ্রুত কমে যাচ্ছে।
বৈজ্ঞানিকরা বলছেনÑ বায়ু দূষণ থেকে অরণ্য ধ্বংস, বিষাক্তকরণ ও নানা দূষণ প্রাকৃতিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটিয়েছে। এমনকি আবহাওয়ারও পরিবর্তন ঘটেছে। এর ফলে মেরুদণ্ডী প্রাণীদের সংখ্যা কমে গেছে।

ঠিক এমনিভাবে অতীতের পাঁচটি মহাধ্বংসের শুরু ছিল। অতীতের পাঁচটি মহাধ্বংস হলো ‘পারমিনিয়ান ধ্বংস, ক্রিটেসাস টারশিয়ারি ধ্বংস, অরডোভিসিয়ান-সিলুরিয়ান ধ্বংস, ট্রিয়াসিক-বুরাসিক ধ্বংস এবং লেট ডেভোনিয়ান ধ্বংস।

পারমিনিয়ান ধ্বংসের পর মাত্র চার শতাংশ জীব ও অরণ্য বেঁচে ছিল। গত এক কোটি ৮০ লাখ বছরে এই চার শতাংশ জীবের বংশধরেরাই আজকের পৃথিবীর প্রজন্ম। এর আগে অরডোভিসিয়ান-সিলুরিয়ান ধ্বংস দুই ধাপে হয়। প্রতি ধাপের মাঝে ছিল কয়েক লাখ বছরের পার্থক্য। এ সময়ে বেশির ভাগ জীব ছিল সমুদ্রে অর্থাৎ সামুদ্রিক জীব যেমন ট্রাইলোবাইটস, ব্রাচিওপড এবং গ্রাপটোলাইট। ডেনোভিয়ান যুগের শেষ পাদের ধ্বংসলীলায় বিশ্বের সব জীবের তিন ভাগের দুই ভাগ হারিয়ে যায়। এমনকি ডাইনোসরেরাও হারিয়ে যায়।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, ৬ কোটি ৬০ লাখ বছর আগে এক বিশাল পাথররাশি মেক্সিকোর ইউকাটান উপদ্বীপে আঘাত হেনে অরণ্যসহ পৃথিবীর তিন-চতুর্থাংশ জীব ধ্বংস করে। ফলে বহু প্রজাতি চিরতরে হারিয়ে যায়। এরপর আরো চারবার এমন ধ্বংসের মুখোমুখি হয় পৃথিবী। তারা বলছেন, পৃথিবী এখন ষষ্ঠ মহাধ্বংসের মাঝে। এ ধ্বংস মহাশূন্যের কোনো শিলারাশির আঘাতে হচ্ছে না। এর নায়ক মানুষ নিজেই।

এ ধ্বংসের কারণ বিশদভাবে উল্লেখ করা হয়েছে ‘ওভার-ডেভেলপমেন্ট, ওভার পপুলেশন, ওভারশুট’ বইটিতে। স্টানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পল এরলিখ তার এ বইতে দেখিয়েছেন, বর্তমান বিশ্বের মানুষ তাদের তৃপ্তিহীন ভোগবাদের মধ্য দিয়ে পরিবেশ ধ্বংস করে নিজেদের এবং পৃথিবীর ক্ষতি করছে। শুধু ১৯০০ সালের পর ৬৯ স্তন্যপায়ী প্রজাতি পৃথিবী থেকে এ জন্য বিদায় নিয়েছে। এর সাথে আরো ৪০০ মেরুদণ্ডী প্রাণী প্রজাতিও নিশ্চিহ্ন হয়েছে। আরো ভয়াবহ তথ্য দিয়েছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যার অধ্যাপক ড. ই ও উইলসন তার ‘দি ফিউচার লাইফ’ বইতে। তিনি লিখেছেন মানুষের বর্তমান ভোগের গতি অব্যাহত থাকলে ২১০০ সালের মধ্যে বিশ্বের অর্ধেক মেরুদণ্ডী প্রাণী ধ্বংস হওয়ার সম্ভাবনা। এটা ঐতিহাসিকভাবে সত্য, কোনো গ্রহ বা শিলারাশির আঘাত ছাড়াই বিশ্বের বহু প্রজাতি হারিয়ে যায়। খানিকটা রুটিন যেন। কিন্তু বর্তমান ভোগবাদের কারণে যা হচ্ছে, তা মোটেই রুটিন নয়। ভয় এখানেই। কারণ, গত শতাব্দীতেই প্রায় ৪০ হাজার প্রজাতির এক অংশও যদি হারিয়ে থাকে, তার অর্থ হলো ৪০০ প্রজাতি হারিয়ে গেছে।

ফোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞানী টড পালমার ‘সায়েন্স অ্যাডভান্স’ ম্যাগাজিনে এই সতর্কবাণী উচ্চারণ করে বলেছেন ‘এখন বিভিন্ন জীব প্রজাতির হারিয়ে যাওয়ার সংখ্যা আগের চেয়ে ২০ থেকে ১০০ গুণ বেশি।’ এই বিষয়ে ‘ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর দ্য কনজারভেশন অব নেচার’ প্রতিষ্ঠানটি প্রতি বছর কত জীব প্রজন্ম হারিয়ে যায় তার তালিকা প্রকাশ করে। তারা ২০১৫তে এক তালিকায় ১৩টি প্রজাতির নাম উল্লেখ করে বলেন ‘এ বছরের পরে হয়তো এগুলো আর দেখা যাবে না।’ প্রজাতিগুলো হলে- ০১. আমুর লিওপার্ড (রাশিয়া-চীনে দেখা যায়); ০২. সুমাত্রার এলিফ্যান্ট (২০০০ নিচে); ০৩. যৎভার গণ্ডার (সে বছর মাত্র ১৫টি ছিল); ০৪. লেদারব্যাক টারটল (বড় আকারের কচ্ছপ), যা সারা পৃথিবীতে ঘুরে বেড়াত; ০৫. পশ্চিমা নি¤œচরের গরিলা (গ্যাবনের জঙ্গলে এরা বাস করত); ০৬. সাওলা (চীন, লাওস, ভিয়েতনামের এক শিংওয়ালা জন্তু, যা বিভিন্ন ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার হতো); ০৭. ভ্যাকুইটা (এক ধরনের সামুদ্রিক জীব, যা ক্যালিফোর্নিয়ার সমুদ্রে পাওয়া যেত এবং এর সাঁতারের পাখাগুলো ৪০০০ ডলারে বিক্রি হতো); ০৮. সাইবেরিয়ার বাঘ (অরণ্য হারিয়ে যাওয়ার পর এগুলো ধরা পড়ে এবং মারা যায়; ০৯. পাহাড়ে গরিলা (এদের উগান্ডা, রুয়ান্ডা, কঙ্গোতে পাওয়া যেত); ১০. গ্রেটার ব্যামবু লেমুর (শৃগালের মুখ বিশিষ্ট প্রাণী, যা মাদাগাস্কারের জঙ্গলে বাস করত; ১১. সুমাত্রার ওরাংওটাং (খাবারের জন্য হত্যা এবং জঙ্গল কমে যাওয়ার জন্য হারিয়ে যাচ্ছে); ১২. কালো গন্ডার (যা আফ্রিকার জঙ্গলগুলোতে একসময় প্রচুর ছিল) এবং ১৩. ইয়াংশি ফিনলেস পরপইছ (ছোট তিমি, যা চীনের ইয়াংসি নদীতে পাওয়া যায়। নদীতে বাঁধ দেয়ায় এদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে)।
আইসিইউএন বলছে ‘এ ছাড়া আরো অনেক প্রজাতি হারিয়ে যাচ্ছে। যেমন ইস্টার্ন কগার (এক ধরনের বনবিড়াল) ৭০ বছর আগে হারিয়ে গেছে। এগুলো ইউরোপে প্রচুর পাওয়া যেত। এমনিভাবে বেঙ্গল টাইগারও নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে।

ড. গ্লেন বেরি সম্প্রতি এক আলোচনায় বলেছেন, অন্তত দশটি ‘ইকোলজিক্যাল বংশ’ (বাস্তববিদ্যা যা পরিবেশের সাথে সংযুক্ত) ঘটছে, যা প্রথমে জীবের অরণ্যের ধ্বংস শুরু করেছে এবং তার প্রভাব পড়বে মানবধ্বংসের ওপর। একদিকে যেমন মানবসভ্যতা প্রাকৃতিক সব জীবনধারণকারী অবস্থা ধ্বংস করছে, অপরদিকে প্রকৃতিও যেন তার প্রতিশোধ নেয়ার জন্য একই তালে এগিয়ে যাচ্ছে। এর একটি হলো উত্তর মেরুর নিচের ৭০০০ গ্যাস বুঁদবুঁদ। এই বুদবুদগুলো মাঝে মধ্যে বরফ ভেদ করে বাইরে আসছে। হঠাৎ করে বিরাট এলাকা দেবে যাচ্ছে এবং গ্যাস বেরিয়ে আসছে। এ গ্যাস হলো মিথেন, যা জীবনের জন্য কার্বন ডাই-অক্সাইডের চেয়ে মারাত্মক।

সাইবেরিয়াতে অন্তত ১৫ বার এ ধরনের ঘটনা গত কয়েক বছরে ঘটেছে। এগুলো বেশির ভাগ তাইমিয়ার উপদ্বীপে ঘটেছে। যখন আবহাওয়া উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, তখনি এ বিস্ফোরণগুলো ঘটে।

এই মিথেন গ্যাসের বিস্ফোরণের ঘটনাকে টাইম বোমা বলে বর্ণনা করেছেন বিজ্ঞানীরা। এর ক্ষতি করার ক্ষমতা অসাধারণ। কেমন ক্ষমতা? বিজ্ঞানীরা হিসাব করেছেন এর বিস্ফোরণ ঘটলে ৫০০০ কোটি টন মিথেন গ্যাস বেরিয়ে এসে যে প্রলয়ের সৃষ্টি করবে তাকে এক কথায় বলা যাবে কেয়ামত (এপোক্যালিয়াটিক) এবং এ অবস্থার সৃষ্টির জন্য বর্তমান যন্ত্রসভ্যতার কর্মকাণ্ডকে দায়ী করেছেন তারা। অসম, অনৈতিক, অন্যায় এবং অপসনীয় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এর মূলে।

সাইনটিফিক আমেরিকার ড. ডেভিড বিল্লো লিখেছেন, বিশ্বের সমতল এলাকার অরণ্য, যা প্রকৃতিকে ভারসাম্যহীনতা থেকে বাঁচাত, তার অধিকাংশই এখন নিশ্চিহ্ন। সেখানে গড়ে উঠেছে লোকালয়। এই অরণ্যের হাতি, বাঘ, ভাল্লুক আর নেই। তেমনি নদ-নদীর জীবগুলোও হারিয়ে গেছে।

এই ভয়ানক অবস্থার গতি পরিবর্তনের সময় এখনও হারিয়ে যায়নি, যদিও খানিকটা কঠিন হয়ে পড়েছে। ড. বিল্লো একটি উদাহরণ দিয়ে এই আশার বাণী করেছেন। উত্তর আমেরিকার নকুল জাতীয় সাদা জন্তু ফেরেটের মাত্র ৭টি বেঁচে ছিল। তাদের পরিচর্যা করে এখন তাদের বিশাল সংখ্যা হয়ে গেছে। উত্তর আমেরিকার এই চেষ্টায় প্রায় ৪২৪ প্রজাতির জীব ও বৃক্ষ রক্ষা পেয়েছে। ব্রাজিল একটি অগ্রগণ্যের ভূমিকা পালন করছে এ প্রচেষ্টায়।

বিজ্ঞানীরা শত শত অনুসন্ধান এবং সতর্কবাণী উচ্চারণ করছেন কয়েক দশক ধরে। কিন্তু ক্ষমতাসীনেরা সে সতর্কগুলো উপেক্ষা করে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের নামে প্রকৃতির ক্ষতিসাধন করে চলেছে। ফলে গত ৪৪ হাজার বছরের মধ্যে এখন উত্তর মেরু অনেক উত্তপ্ত।

এখন এখান থেকে ফিরতে হলে ধনী ও ধনী দেশগুলোকে তাদের ভোগবাদকে অত্যন্ত সীমিত করতে হবে। এর সাথে সাথে বন ও জীবের সংরক্ষণ করতে হবে, ঠিক মরিশাসে যা করা হয়েছে। ইউরোপীয়রা এখানের ডোডো ও কচ্ছপ খেয়ে প্রায় শেষ করেছিল। কাছের সিসেলিস দ্বীপ থেকে কচ্ছপ ও ডোডো এনে তার সঠিক পরিচর্যার মধ্য দিয়ে আবার এদের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।
জীব ও অরণ্য ধ্বংস এখন ঠেকাতে না পারলে সভ্যতার আয়ু হয়তো আগামী শতাব্দীতে শেষ হয়ে যাবে বলে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন।-নয়াদিগন্ত