জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর :

সংসদ নির্বাচনে সেনা বাহিনী মোতায়েনের প্রয়োজন নেই’

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সামরিক বাহিনী মোতায়েনের প্রয়োজন নেই বলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে গণমাধ্যমের সংলাপে মত দিয়েছেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান।

বুধবার ইসির সঙ্গে বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদক, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও সাংবাদিক নেতাদের সংলাপ শেষে বের হয়ে দুপুরে সাংবাদিকদের নিজের এ মত জানান শফিকুর রহমান।

এর আগে সকাল ১০টা ২০ মিনিটে আগারগাঁওয়ে ইসি ভবনের সম্মেলন কক্ষে সংলাপ শুরু হয়। ধারাবাহিক সংলাপের অংশ হিসেবে দুইদিনের সংলাপে গণমাধ্যমের ৭১ জন প্রতিনিধির সঙ্গে সংলাপ করবে ইসি।

প্রেসক্লাবের সভাপতি সংলাপে বলেছেন, ‘আমাদের এখানে আইন-শৃঙ্খলা কন্ট্রোলের জন্য আমাদের পুলিশ, বিজিবি আছে, র্যা ব আছে, আনসার ভিডিপি আছে। তারাই সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সক্ষম। যখন জাতীয় বিপর্যয় হয় তখনই কেবল সেনাবাহিনী আহ্বান করা দরকার।’

শফিকুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে আহ্বান করলে পুলিশ-র্যা ব সাইডলাইনে চলে যাবে। তখন অবস্থা তেমন ভালো থাকবে না। ২০০১ সালের নির্বাচনে সেনাবাহিনী ছিল। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের সময় পর্যবেক্ষণ দল নামে বিভিন্ন দেশি-বিদেশি সংগঠন নির্বাচনে প্রভাব খাটায়। তারা শৃঙ্খলা নয় শুধু বিশেষ প্রার্থী ও বিশেষ দলের পক্ষে মাঠে নামে। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে এটা আমি দেখেছি। এরা বিদেশি সাম্রাজ্যবাদীর পয়সায় চলে। এদেশে তারা সরকার পরিবর্তন করতে চায়।’

তিনি আরও জানান, ‘অনেকেই নির্বাচনের সময় সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের প্রসঙ্গ তুলেছেন। আমি সেটা সমর্থন করেছি। প্রত্যেকটি নির্বাচনের আগে ও পরে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন হয়। আমি মনে করি নির্বাচন কমিশনকে এ ব্যাপারে বিশেষ নজর দিতে হবে।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বে সংলাপে অন্যান্য কমিশনার ও ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে গণমাধ্যমের সঙ্গে সংলাপে বসবে ইসি। এদিন টেলিভিশন, অনলাইন ও রেডিওর সাংবাদিকদের মতামত নেওয়া হবে।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ইসির কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী রাজনৈতিক দল, দেশের বিশিষ্টজন ও অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছে ইসি। এরআগে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপ করে ইসি।

গণমাধ্যমের সঙ্গে সংলাপের পর ২৪ আগস্ট থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করবে ইসি। ওইদিন সকালে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) সঙ্গে ও বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের (মুক্তিজোট) সঙ্গে ইসির সংলাপ রয়েছে।

এরপর ২৮ আগস্ট বেলা ১১টায় বাংলাদেশ মুসলীম লীগ-বিএমএল এবং বিকেল ৩টায় খেলাফত মজলিশের সঙ্গে সংলাপ করবে ইসি।

এছাড়াও ৩০ আগস্ট বেলা ১১টায় বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ও বিকেল ৩টায় জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সঙ্গে সংলাপ করবে সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটি।