সদ্যজাত শিশুকে কোলে নেওয়া হলো না বাবার!

একই সঙ্গে চরম সুখ আর দুঃখের ঘটনার উদাহরণ এটাই হতে পারে। আমেরিকার কলোরাডোর এই পরিবারে ঠিক যা ঘটে গেলো।

কলোরাডোর ৩৭ বছর বয়সী টনি শ্যুমাকার তার স্ত্রী আর দুই বাচ্চাকে নিয়ে হাসপাতালে ছুটলেন। নিজের নিশান পাথফাইন্ডার চালাচ্ছিলেন তিনি। দারুণ সুখানুভূতি ছিল সবার মনে। তৃতীয়বারের মতো বাবা হতে চলেছেন তিনি। গন্তব্য পুর্দে ভ্যালি হাসপাতাল। স্ত্রীর প্রবসবেদনা উঠেছে। তাই একটু দ্রুতই পৌঁছানো দরকার। কিন্তু দ্রুত যাওয়ার তাগাদাই এক মর্মস্পর্শী ঘটনা ঘটিয়ে দিলো। গাড়িটি ফোর্ট কলিন্সের পশ্চিমের এক বাঁধে খুব জোরে ধাক্কা খেলো। স্ত্রী আর দুই সন্তান বেঁচে গেলেন। কিন্তু কলিন্স চলে গেলেন না ফেরার দেশে।

তীব্র মনঃকষ্ট আর দৈহিক যন্ত্রণা নিয়ে সদ্য স্বামীহারা জিল শ্যুমাকার তৃতীয় সন্তানের জন্ম দিলেন। ফুটফুটে একটা ছেলে হয়েছে তার। তবে দুর্ঘটনায় জিলের পিঠের একটা হাড় ভেঙে গেছে। কিন্তু যে বাবা তার তৃতীয় সন্তানকে দারুণ স্নেহে কোলে তুলে নিতে হাসপাতালে ছুটছিলেন, তিনি আর কোনদিন সন্তানটিকে দেখতে পারবেন না।

এমন এক হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটার পর বিধ্বস্ত অবস্থায় রয়েছে গোটা পরিবার। সুখের খবর মৃত্যু যন্ত্রণায় চাপা পড়েছে। পরিবারটিকে বাঁচাতে চ্যারিটি ফান্ড গঠন করা হয়েছে।

তবে হাসপাতালের করোনার জেমস ম্যাকনগটন জানান, দুর্ঘটনায় টনি যে মারাত্মক আঘাত পেয়েছিলেন তা নয়। শারীরিক অসুস্থতার দায় ছিল এর পেছনে। অসুস্থতার ওপর এমন ধকল সইতে পারেননি তিনি।

তবুও সন্তানের পৃথিবীতে আসা আর বাবার চলে যাওয়ার মতো ঘটনা দুঃস্বপ্নেও কি কেউ দেখেন? সূত্র : এমিরেটস