সমঝোতার জন্য সময় চেয়েছেন ‘জঙ্গি’ আবদুল্লাহ

রাজধানীর মিরপুরের মাজার রোডে বাঁধন সড়কের বর্ধনবাড়ি এলাকার ভাঙ্গাওয়াল গলির জঙ্গি আস্তানায় অবস্থানরত ‘জঙ্গি’ আবদুল্লাহ র‌্যাবের সঙ্গে সমঝোতার জন্য সময় চেয়েছেন।

মঙ্গলবার র‌্যাবের পক্ষ থেকে তাকে আত্মসমর্পণের চূড়ান্ত আহ্বান জানানো হয়। এই আহ্বানে সাড়া না দিলে অভিযানের প্রস্তুতির কথা বলা হয়। এতে সমঝোতার জন্য সময় চান আবদুল্লাহ।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেছেন র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ।

বেনজির আহমেদ বলেন, আবদুল্লাহ একজন দুর্ধর্ষ জঙ্গি। তার সঙ্গে আমাদের ভোর ৪টা থেকে যোগাযোগ হচ্ছে। তাকে আমরা বিভিন্নভাবে আত্মসমর্পণ করার জন্য আহ্বান জানাই। তিনি আহ্বানে সাড়া দিয়ে কিছুটা সময় চেয়েছেন।

বেনজীর বলেন, আমরা সর্বোচ্চ সহিষ্ণুতার পরিচয় দিচ্ছি। এরপরও তিনি যদি আত্মসমর্পণ না করেন এবং র‌্যাবের ওপর হামলার চেষ্টা করেন তাহলে আমরা আইনি পদ্ধতিতে অভিযানে যাব।

আস্তানাটিতে আব্দুল্লাহ ছাড়াও তার দুই স্ত্রী, দুই সন্তান ও দুই সহযোগীসহ মোট সাতজন অবস্থান করছেন। বাড়িটিতে মোট ২৪টি ফ্ল্যাট রয়েছে। তবে এরইমধ্যে নারী ও শিশুসহ সব বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

ভেতরে কি পরিমাণ বিস্ফোরক রয়েছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমাদের তথ্য মতে ভেতরে ৫০টিরও বেশি দেশীয় তৈরি ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি বোমা) রয়েছে। এছাড়াও অ্যাসিডসহ বিস্ফোরক তৈরির বিভিন্ন দ্রব্যাদি তার কাছে মজুদ আছে। ছোট একটা পিস্তল আছে বলেও আমরা ধারণা করছি।

জঙ্গি আবদুল্লাহর পরিচয় জানতে চাইলে র‌্যাবব ডিজি জানান, আমরা জানতে পেরেছি আবদুল্লাহ ১৫ বছর ধরে এই ভবনের ৫তলায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে বসবাস করছেন। তিনি কবুতর পালন এবং আইপিএসের ব্যবসার আড়ালে দুর্ধর্ষ জঙ্গি হয়ে উঠেছেন।

১০-১৫ মিনিটের মধ্যে অপারেশন শেষ করার সক্ষমতা র‌্যাবের রয়েছে। কিন্তু অভিযানে দুই নিষ্পাপ শিশুর জীবন বিপন্ন হতে পারে, তাই আমরা সর্বোচ্চ সহিষ্ণুতার পরিচয় দিচ্ছি বলে জানান বেনজীর আহমেদ।

সোমবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের একটি জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালানো হয়। ওই আস্তানা থেকে জেএমবির দুই জঙ্গিকে আটক করা হয়। পরে তাদের তথ্য অনুযায়ী রাত ১টায় অভিযান চালিয়ে মাজার রোডের বুদ্ধিজীবী কবরস্থানের দক্ষিণে বর্ধনবাড়ি এলাকার ভাঙ্গাওয়াল গলির ২/৩/বি নম্বর বাড়ির পঞ্চম তলায় জঙ্গি আস্তানাটি খুঁজে পায় র‌্যা ব। আস্তানাটি রাতভর ঘিরে রাখা হয়। রাতে ভেতর থেকে পরপর কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দও শোনা যায়।