সমালোচকদের কি বার্তা দিলেন শারাপোভা?

চোটের কারণে দীর্ঘদিন কোর্টে নেই। কিন্তু সমালোচকদের মুখ বন্ধ করবে কে? তারা সমানে সমালোচনা করে গেছেন টেনিস সুন্দরী মারিয়া শারাপোভার। যা শুনে মাঝে মাঝে খুব ভেঙে পড়তেন তিনি। পরক্ষণে আবার উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছেন।‘প্লেয়ার্স ট্রিবিউন এসে’-তে মনের মধ্যে চলতে থাকা ঘটনাগুলো তুলে ধরলেন। কী বলেছেন শারাপোভা?

তিনি বলেন,‘টেনিস খেলাটা যদি সত্যি সত্যিই ভালবাসেন, তা হলে দিন শেষে টেনিসও ততটাই ভালবাসা ফিরিয়ে দেবে। নির্বাসনের পনেরো মাস, একেবারে আলাদা ছিল আমার কাছে। রায় ঘোষণা, তথ্য নিয়ে কাঁটাছেড়া, আবেগের নাগোরদোলা- সব মিলিয়ে এই সময়টার সঙ্গে সত্যিই কোনও কিছুর তুলনা হয় না। জানি, আমার সতীর্থরা এই সময়ে অনেক কথা বলেছে। অনেক সমালোচনা করেছে।

আপনি যদি রক্ত-মাংসের মানুষ হন, আপনার হৃদয় যদি ধক ধক করে, তা হলে এই ধরণের ঝড় বয়ে যাচ্ছে যখন, তখন সব কিছুকে উপেক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়ে। আমার পক্ষেও কঠিন ছিল। মন খারাপ হতো, কষ্ট পেতাম। যা যা ঘটেছে, তাতে মানসিকভাবে এক সময় বিপর্যস্ত ছিলাম। ১৫ মাস কোর্টের বাইরে ছিলাম! তারপর মাত্রই যখন এক পা বাড়িয়েছি কোর্টের দিকে, অমনি চোট আরও দু’ধাপ পিছিয়ে দিল। তাই খারাপ লাগাটা আরও ঘিরে ধরেছিল।’

তাহলে কি এখনও বেরিয়ে আসতে পারেননি এই অন্ধকার সময় থেকে? শারাপোভা লিখেছেন, ‘ শেষ দুই বছর আমার জীবনে অত্যন্ত কঠিন কেটেছে। কল্পনা করিনি কখনও, এমন একটা সময় আমার জীবনে আসবে। তা বলে টেনিসের প্রতি আগ্রহ কমেনি এতটুকু। বরং আমি মানসিকভাবে দৃঢ় হয়েছি।’

এরপরই শারাপোভা বার্তা দেন সমালোচকদের উদ্দেশ্যে। বলেছেন, ‘আমার হৃদয়ে কারও প্রতি কোনও বিদ্বেষ নেই। এমনকি আমার সমালোচকদের প্রতিও। তবে একটা কথা পরিষ্কার করে বলে দিচ্ছি, আমি সবার প্রতি বিনয় দেখাতেই অভ্যস্ত। ভাল ব্যবহার করতেই শিখেছি। এই শিক্ষাটা আমার মায়ের কাছ থেকে পাওয়া। কিন্তু এটাও সত্যি, আমি আমার সমালোচকদের উপেক্ষা করতেই অভ্যস্ত। আর এই উপেক্ষাটা আমি নিজের ইচ্ছাতেই করি। অন্য কাউকে কিছু দেখাতে নয়। প্রমাণ দিতে নয়।’