সমালোচনার মুখে অবশেষে আনিসুল হকের দুঃখ প্রকাশ

‘বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে মশা মারা তাদের পক্ষে সম্ভব না।’ শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে করা এমন মন্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হক। ‘চিকুনগুনিয়া মহামারি হোক আর যা-ই হোক, এর জন্য কোনোভাবেই সিটি করপোরেশন দায়ী নয়’ – শুক্রবার দেওয়া তার এমন বক্তব্যের ব্যাখ্যাও দিয়েছে ডিএনসিসিরি মেয়র।

মেয়র বলেন, ‘গতকাল একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন যে আমরা মশারি নিয়ে সচেতনতা তৈরি করছি কি না? আমি আমাদের সচেতনতামূলক পোস্টারে মশারির ছবি দেখিয়ে ওই কথা বলেছিলাম। কিন্তু যেভাবে বলেছি, তা ঠিকভাবে বলতে পারিনি—হতে পারে।’

শনিবার উত্তর সিটি করপোরেশনের নগর ভবনের সামনে থেকে চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আয়োজিত এক র‍্যালির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

আনিসুল হক বলেন, অল্প সময়ের মধ্যে চিকুনগুনিয়া রোগ নিয়ন্ত্রণে আসবে।

‘চিকুনগুনিয়ার বাহক এডিস মশা মারতে যা যা করনীয় আমরা করছি, করবো,’ বলেন মেয়র।

তিনি বলেন, ‘সমস্ত শক্তি দিয়ে আমরা মাঠে নেমেছি। আমাদের প্রতিটি ওয়ার্ডে আলাদা আলাদা দিনে বৃহৎ পরিসরে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চলবে।’

‘মশক নিধন কার্যক্রমে কেউ অবহেলা করলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেখানে ৫ দিন পর পর মশা নিধনের ওষুধ প্রয়োগের কথা, সেখানে আমরা তিন দিন পর পর প্রয়োগ করছি,’ যোগ করেন মেয়র।

আনিসুল হক বলেন, ‘আমাদের এলাকার সমস্ত রাস্তার লিস্ট করেছি, মশক নিধন কর্মীরা সে অনুযায়ী কাজ করবে। আর এলাকার মানুষ যদি মশক নিধক কর্মীদের দিয়ে আশানুরুপ ফল না পায় তাহলে সেসব মশক নিধনকর্মীদের বেতন দেওয়া হবে না।

চিকুনগুনিয়া মোকাবেলায় জনগণকে সবচেয়ে সচেতনমূলক অবস্থানে থাকার পরামর্শ দিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে এই চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে সার্বিক কার্যক্রম চালাব। এক সঙ্গে কাজ করলে এই রোগ প্রতিরোধ করা অল্প দিনের ব্যাপার।’

র‍্যালিতে ডিএনসিসির কর্মকতা-কর্মচারী,স্থানীয় সংসদ সদস্য, কাউন্সিলরসহ বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।