সরকার ধর্মান্ধ অপশক্তির কাছে নতি স্বীকার করেছে : ১০ বিশিষ্ট নাগরিক

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে ভাস্কর্য অপসারণের প্রতিবাদ জানিয়েছেন আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী, অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকসহ দেশের ১০ বিশিষ্ট ব্যক্তি। শুক্রবার রাতে এক বিবৃতিতে তারা, ধর্মের নামে সংস্কৃতিবিরোধী প্রচারণায় বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে তারা বলেছেন, “বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত প্রাঙ্গণ হতে ন্যায় বিচারের প্রতীক ভাস্কর্য অপসারণে আমরা ক্ষুব্ধ এবং প্রগতিবিরোধী এ হেন হীনকর্মে গভীর ক্ষোভ ও ঘৃণা প্রকাশ করছি। এই অপসারণ কর্মের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দল কর্তৃক গঠিত সরকার কার্যত ধর্মান্ধ মৌলবাদী অপশক্তির কাছে নতি স্বীকার করেছে। আমরা ভুলে যায়নি যে এই সাম্প্রদায়িক অপশক্তি মুক্তিযুদ্ধের গৌরবের প্রতীক ‘অপরাজেয় বাংলা’ ধ্বংসের উদ্দেশ্যে ব্যর্থ আক্রমণ করেছিল । এরাই ‘দূরন্ত শিশু’ ভাস্কর্য রাতের আধাঁরে নিশ্চিহ্ন করেছিল। এরাই বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশকে একটি ধর্মান্ধ মৌলবাদী রাষ্ট্র হিসাবে পরিণত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। এই সংস্কৃতিবিরোধী প্রবণতার আমরা তীব্র নিন্দা করি। অনতিবিলম্বে ন্যায় বিচারের প্রতীক শিল্পসিদ্ধ ভাস্কর্য প্রতিস্থাপন করার জন্য সরকার ও সুপ্রিম কোর্টের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। আশা করি, ধর্মের নামে সংস্কৃতি বিরোধী প্রচারণায় বাংলাদেশের মানুষ বিভ্রান্ত হবেন না।’

বিবৃতিতে আরও যারা স্বাক্ষর করেছেন তারা হলেন- সঙ্গীতজ্ঞ সানজিদা খাতুন, অভিনেতা হাসান ইমাম, রামেন্দু মজুমদার, শহীদ জায়া পান্না কায়সার, নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ, শিল্প সমালোচক মফিদুল হক, মুক্তিযাদ্ধা নাসির উদ্দীন ইউসুফ।