সাহরি খাওয়ার ফজিলত ও গুরুত্ব

সাহরি খাওয়া সুন্নত। সাহরিতে রয়েছে বরকত ও কল্যাণ। ইয়াহুদি-খ্রিস্টানরাও রোজা পালন করত কিন্তু তারা ভোররাতে সাহরি গ্রহণ করত না। তাই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ভোররাতে সাহরি খাওয়ার বিশেষ তাগিদ দিয়েছেন। যে কারণে সাহরি খাওয়া উম্মাহর জন্য সুন্নাত। সাহরি খাওয়ার ফজিলত ও গুরুত্ব হলো-

>> সাহরি পেট ভরে খাওয়া জরুরি নয় বরং ন্যূনতম এক ঢোক পানি পান করলেও সাহরির সুন্নত আদায় হয়ে যাবে। হাদিসে এসেছে, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন- تسحروا فإن في السحور بركة অর্থাৎ ‘তোমরা সাহরি খাও। কেননা, সাহরিতে বরকত রয়েছে। (মুসলিম)

>> অন্য হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘সাহরি খাওয়া বরকতময় কাজ। সুতরাং তোমরা তা পরিত্যাগ করো না। এক ঢোক পানি দিয়ে হলেও সাহরি কর। কারণ যারা সাহরি খায় আল্লাহ তাআলা তাদের ওপর রহমত বর্ষণ করেন এবং ফেরেশতারা তাদের জন্য রহমতের দোয়া করেন।’ (মুসনাদে আহমদ, মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা, ইবনে হিব্বান)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সাহরি খাওয়ার ফলে হাদিসে ঘোষিত ফজিলত, বরকত ও কল্যাণ লাভে বিশ্বনবির সুন্নাত পালনের গুরুত্ব উপলব্ধি করে সাহরি খাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।