সীমান্তে খালি করে দেওয়া হচ্ছে গ্রাম! এটা কি যুদ্ধের পরিস্থিতি?

ক্রমশ জটিল পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে ভারত-পাক সীমান্তে। সীমান্তের বিভিন্ন সেক্টরে কার্যত প্রতি মুহূর্তে চলছে গুলির লড়াই। পাকিস্তান সেনার মর্টার হামলায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত সীমান্ত সংলগ্ন গ্রামগুলি। সীমান্তের ওপার থেকে ছুটে আসা গুলিতে মৃত্যু পর্যন্ত সাধারণ মানুষের। ক্ষয়ক্ষতি কমাতে জম্মু-কাশ্মীর সীমান্তে একের পর এক গ্রাম খালি করে দেওয়া হয়েছে। নিরাপদ শিবিরে রাখা হয়েছে কয়েক হাজার মানুষকে।

এই অবস্থাতে দিল্লিতে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী অরুণ জেটলি জানিয়ে দিয়েছেন, পাকিস্তানের সঙ্গে কোনওরকম কথা বলার মতো অবস্থা এখন নয়। আলোচনা করে আস্থাবর্ধক ব্যবস্থা গ্রহণ করে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে উষ্ণ করার সবরকম প্রয়াস ভারত সরকার নিয়েছে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী বিনা নোটিসে লাহোরে গিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মিলিত হয়েছেন পারিবারিক অনুষ্ঠানে। কিন্তু পাকিস্তান এসবের জবাব দিয়েছে কখনও পাঠানকোট, কখনও গুরদাসপুর কখনও উরি সেক্টরে হামলা করে। পাকিস্তানই বন্ধ করে দিয়েছে সবরকম আলোচনার রাস্তা।

অন্যদিকে, সীমান্তে পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে গিয়েছে কাশ্মীরে ছুটে গিয়েছেন সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত। নর্দান কমান্ডের প্রস্তুতি নিয়ে সেনা আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করেন। প্রায় ১৫ বছর পর কর্ডন অ্যান্ড সার্চ অপারেশনের নির্দেশ জারি করা হয়েছে সামরিক বিভাগ থেকে। প্রাথমিকভাবে সোপর জেলায় চালু হলেও জানা যাচ্ছে দক্ষিণ কাশ্মীরের সর্বত্র এবং নিয়ন্ত্রণরেখায় আজ থেকেই তা শুরু হয়ে গিয়েছে। জানা যাচ্ছে, নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে পাকিস্তানি সেনা ও সন্ত্রাসবাদীদের যত বাঙ্কার কাছে এবার নিয়ম করে সেগুলিকে ধ্বংস করার অভিযান নেওয়া হয়েছে।