সুষম উন্নয়নে ভারত পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ

বিশ্বের উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলোর সুষম উন্নয়ন সূচকে প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে অনেক এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ) গত শুক্রবার ‘সুষম প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়ন প্রতিবেদন-২০১৮’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

ডব্লিউইএফের প্রকাশিত বিশ্বের উন্নয়নশীল অর্থনীতির ৭৯টি দেশের তালিকায় ভারত ৬২তম ও পাকিস্তান ৪৭তম অবস্থানে রয়েছে। প্রতিবেশী এ দুই দেশকে পেছনে ফেলে ৩৮তম অবস্থানে আছে বাংলাদেশ।

জীবনযাত্রার মান, পরিবেশগত স্থিতিশীলতা ও ঋণ থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুরক্ষার ওপর ভিত্তি করে বৈশ্বিক এ সূচক প্রকাশ করেছে ডব্লিউইএফ।

তবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র নেপাল রয়েছে বাংলাদেশের ওপরে। ডব্লিউইএফের মতে, বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত অর্থনীতির দেশ হিসেবে তালিকার শীর্ষে রয়েছে নরওয়ে। এরপরই আছে আয়ারল্যান্ড (দ্বিতীয়), লুক্সেমবার্গ (তৃতীয়), সুইজারল্যান্ড (চতুর্থ) ও ডেনমার্ক (পঞ্চম)।

এছাড়া শীর্ষ উদীয়মান অর্থনীতির দেশের শীর্ষে আছে লিথুনিয়া। এরপরই আছে হাঙ্গেরি (দ্বিতীয়) আজারবাইজান (তৃতীয়) লাটভিয়া (চতুর্থ) ও পোল্যান্ড (পঞ্চম)।

সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) বার্ষিক সম্মেলন শুরু হবে মঙ্গলবার। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা ওই বৈঠকে অংশ নেবেন। জরুরি ভিত্তিতে নতুন ধরনের সুষম প্রবৃদ্ধি মডেলের দিকে মুখ ফেরাতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ডব্লিউইএফ।

এদিকে, সোমবার ব্রিটিশ দাতব্য সংস্থা অক্সফাম ইন্টারন্যাশনাল বার্ষিক বৈষম্য শীর্ষক এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সংস্থাটি বলছে, গত বছর বিশ্বে যে পরিমাণ সম্পদ তৈরি হয়েছে তার কোনো ভাগই পায়নি বিশ্বের প্রায় অর্ধেক মানুষ। তবে ওই সম্পদের প্রায় ৮২ শতাংশই গেছে বিশ্বের মাত্র এক শতাংশ ধনীর হাতে।

সোমবার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে অক্সফাম ইন্টারন্যাশনাল বলছে, ‘২০১৭ সালে বিশ্বে কোটিপতিদের সম্পদ বেড়েছে প্রায় ৭৬২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বৈশ্বিক চরম দারিদ্র্য দূর করার জন্য এ অর্থ যথেষ্ঠ।’ অক্সফাম ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী পরিচালক উইনি বিয়ানইমা কোটিপতিদের সম্পদ বৃদ্ধির এ ঘটনাকে ‘অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ব্যর্থতার’ লক্ষণ বলে মন্তব্য করেছেন।