সু চিকে মোদির সমর্থনে বিস্মিত রিজভী

রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ারমারের নেত্রী অং সান সু চিকে সমর্থন করায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কঠোর সমালোচনা করেছেন বিএনপির সিনিয়ির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, ‘ভারতের মতো একটি গণতান্ত্রিক দেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের ওপর হত্যা নির্যাতনে সমর্থন দেওয়ায় আমরা বিস্মিত ও হতবাক হয়েছি।’

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বৃহস্পতিবার দুপুরে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন রিজভী। রোহিঙ্গাদের ওপর হত্যাযজ্ঞ বন্ধের দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল।

বুধবার অং সান সু চির সঙ্গে সাক্ষাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘রাখাইনের সংঘাত নিয়ে মিয়ানমারের মতোই উদ্বিগ্ন ভারত। জাতি হিসেবে দেশটির একতা রক্ষা ও উদ্বেগের প্রতি সবপক্ষকে সম্মান জানানো উচিত।’

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে নতজানু পররাষ্ট্র নীতি ছেড়ে ঘুরে দাঁড়াতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর অমানবিক নির্যাতন ও হামলায় আমরা উৎকুণ্ঠিত। সমগ্র বিশ্ব বিবেক প্রতিবাদে জাগ্রত কিন্তু বর্তমান সরকারের কোনো জোরালো অবস্থান, কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নাকি রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। অথচ বাস্তবে আমরা দেখতে পাচ্ছি সরকারের কার্যকর উদ্যোগ নেই। নেই কূটনৈতিক তৎপরতা। তারা শুধু দায়সারাভাবে রাষ্ট্রদূতকে ডেকে কিছু কথা বলে ছেড়ে দিচ্ছে। কারণ বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার গণবিরোধী। জনগণের রায়ে নির্বাচিত নয়। জনগণের ভোটে যদি নির্বাচিত সরকার হতো তাহলে রোহিঙ্গাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতো। আশ্রয়ের পরিবর্তে বন্দুক হাতে দাঁড়িয়ে থাকতো না।’

শান্তিতে নোবল বিজয়ী অং সান সু চির সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘তিনি (অং সান সু চি) এক সময়ে সবার মডেল ছিল। কিন্তু তিনি ম্যান্ডেলার মতো আন্তর্জাতিক সীমারেখা অতিক্রম করতে ব্যর্থ হয়েছেন।’

মানববন্ধনে রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন সুপরিকল্পিত। এদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে।’

সংগঠনের সভাপতি ইশতিয়াক আজীজ উলফাতের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন-বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সাহিদুর রহমান তামান্না ও মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান।