সেনা না সরা পর্যন্ত চীনের সঙ্গে আলোচনা নয় : সুষমা স্বরাজ

ভারত-চীন সীমান্তে রীতিমত যুদ্ধের মহড়া চলমান। দুই দেশই সীমান্তের দুই পারে সেনা মোতায়েন করেছে। অবস্থা এমন জায়গায় পৌঁছে গেছে যে কোনও মুহূর্তে যুদ্ধের আশঙ্কা করছে গোটা বিশ্ব। কিন্তু বারবার চীনের তরফ থেকে যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিলেও সেই পথে হাঁটতে নারাজ ভার‍ত।

সীমান্তে শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় ভারত। চীন যদি আগে সিকিম সীমান্ত থেকে সেনা সরাতে রাজি হয়, তাহলে চীনের সঙ্গে আলোচনার জন্য তৈরি ভারত। শুক্রবার রাজ্যসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে সংযোজনীর জবাবে এমনই জানালেন মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।

তিনি বলেন, ২০১২ সালে ভারত, চীন ও ভুটানের মধ্যে এই মর্মে লিখিত বোঝাপড়া হয়েছিল যে, তিন পক্ষের সংযোগস্থলের সীমানা নিয়ে পরস্পর আলোচনার মাধ্যমেই তারা একসঙ্গে সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু তারপরও চীন একতরফা ওখানকার চরিত্র বদলে দিতে চাইছে, যার ফলে চ্যালেঞ্জের মুখে ভারতের নিরাপত্তা।

চীন এই অঞ্চলে আগেও রাস্তা তৈরি করেছে। বুলডোজার ও এলিভেটর নিয়ে এসেছে তারা। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করাই যায়। তবে তার আগে দু’পক্ষকেই সেনা সরাতে হবে।

শুধু তাই নয়, সুষমার আরও বলেছেন, তিন দেশের সংযোগস্থল নিয়ে ভারতের অবস্থান মোটেই ‘অযৌক্তিক’ নয়। সব দেশ এই ইস্যুতে তার পাশেই দাঁড়িয়েছে। তারা বুঝতে পেরেছে, ভারত এই ব্যাপারে যা বলছে, তাতে অন্যায় কিছু নেই। আইন আমাদের পক্ষে। ভারত ও চীনের মধ্যে সীমানা নির্ধারণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি, দু’দেশ নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সেটা করে ফেলবে, অন্যদিকে চীন ও ভুটানের মধ্যে সীমানা নির্ধারণও দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পথেই হবে।

সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান করতে হবে, এটাই ভারতের মনোভাব। মতপার্থক্য যাতে বিবাদ, সংঘাতে না গড়ায়, সেটাই চায় ভারত। কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে ডোকালাম সমস্যার চেষ্টা চলছে। আমরা কথা বলতে আগ্রহী। কিন্তু আগে তো দু’পক্ষকে নিজ নিজ সেনা সরিয়ে নিতে হবে। ভারত যে মূহূর্তে জানতে পারে, এক সীমান্ত, এক রাস্তা (ওয়ান বর্ডার, ওয়ান রোড) প্রকল্পটি চীন-পাকিস্তান ইকনমিক করিডরেরই অংশ, সঙ্গে সঙ্গে তার বিরোধিতা করে বলেও জানান সুষমা।