সোহরাওয়ার্দীতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও সারাদেশে মিছিল করবে বিএনপি

দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে তল্লাশির প্রতিবাদে আগামী ২৪ মে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রতিবাদ সমাবেশ এবং পরদিন ২৫ মে ঢাকাসহ সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। রোববার রাতে স্থায়ী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবদ সম্মেলন করে এ কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।

বৈঠক সূত্র জানায়, বৈঠকে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে তল্লাশির ঘটনা পর্যালোচনা করা হয়। এর নিন্দা জানিয়ে বলা হয়, এটি বিএনপিকে সরকারের উস্কানি, নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করে আবার একদলীয় নির্বাচনের পায়তারা হিসেবে দেখছে। যে কারণে বিএনপির পক্ষ থেকে সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিক ব্যাখা দাবি করা হবে কেন এভাবে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে তল্লাশি চালানো হয়েছে। এছাড়া কার্যালয়ে তল্লাশির ঘটনায় আইন পদক্ষেপে যাবে বিএনপি।

সূত্রটি আরো জানায়, গুলশান কার্যালয়ে পুলিশি তল্লাশির ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবর একটি শ্বেত পত্র দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়।’ তবে এসব বিষয়ে চূড়ান্ত সীদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য খালেদা জিয়ার উপর ছেড়ে দেওয়া হয়।

গুলশানে রাজনৈতিক কার্যালয়ে পুলিশি তল্লাশি ঘটনায় পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে দলের নীতি নির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সঙ্গে বৈঠকে করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সোমবার রাত ১০টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৈঠক শুরু হয়। রাত ১১টার দিকে বৈঠক শেষ হয়।

বৈঠকে অংশ নেন- বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফর হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, তরিকুল ইসলাম, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, রফিকুল ইসলাম মিয়া, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে রফিকুল ইসলাম মিয়া বৈঠক শুরু হওয়ার পরপরই শারীরিক অসুস্থতার কারণে চলে যান।

বৈঠকে উপস্থিত এক নেতা জানান, ‘বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে এখনই কিছু বলা যাবে না। ম্যাডামের উপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তিনি সীদ্ধান্ত নিবেন। পরে মহাসচিব তা ঘোষণা করবেন।’

প্রতিবাদ সভা করার জন্য প্রথমে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুমতি চাওয়া হবে। যদি না হয় রাজধানীর অন্য কোনো স্থানে অনুমতি চাওয়া হবে বলেও জানা গেছে।

উল্লেখ্য, শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় গুলশানের ৮৬ নম্বর সড়কে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অভিযান শুরু করে পুলিশ। নাশকতার সরঞ্জাম জড়ো করা হয়েছে এমন অভিযোগে সেখানে অভিযান চালানো হয়। দুই ঘণ্টা অভিযান শেষে ফলাফল শূন্য বলে জানায় পুলিশ।