সৌদির সঙ্গে অস্ত্রচুক্তি : ট্রাম্পের কাছে ব্যাখ্যা চাইবে ইসরাইল

যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদি আরবের মধ্যে অস্ত্র খাতে ১১ হাজার কোটি ডলারের স্বাক্ষরিত চুক্তির বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্পের কাছে ব্যাখ্যা চাইবেন ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

ইসরাইলি প্রেসিডেন্টের এক ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাতে এ কথা জানিয়েছে জেরুজালেম পোস্ট।

শনিবার প্রথম বিদেশ সফরে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে পৌঁছান ট্রাম্প। সফরের প্রথম দিনেই সৌদি আরব এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ৩৮ হাজার কোটি ডলারের প্রতিরক্ষা, ব্যবসা এবং প্রযুক্তিবিষয়ক বেশ কয়েকটি চুক্তি হয়। এর মধ্যে অস্ত্র খাতে বরাদ্দ রয়েছে ১১ হাজার কোটি ডলার। দুটি দেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজের অঙ্গীকার হিসেবে ‘জয়েন্ট স্ট্র্যাটেজিক ভিশন ডিক্লারেশন’ স্বাক্ষর করে।

নেতানিয়াহুর এক ঘনিষ্ঠ ইউভাল স্টেইনিজ বলেন, ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট, যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদির মধ্যে চুক্তির বিষয়ে অবগত হয়েছেন। সোমবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন ইসরাইল সফর করবেন তখন তার কাছ থেকে এ চুক্তির ব্যাখ্যা চাওয়া হবে।

স্টেইনিজ আরও বলেন, ‘আরব বিশ্বের এমন কোনো দেশ নেই যে আমাদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তবে নতুন এ অস্ত্র চুক্তি অবশ্যই আমাদের বিড়ম্বনার মধ্যে ফেলবে।’

এদিকে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদেল আল-জুবায়ের ট্রাম্পের এ সফরকে আরব বিশ্বের জন্য ‘এক নতুন সূচনা’ বলে উল্লেখ করেন।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জুবায়ের জানান, দেশ দুটি সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং অবকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। আগামী ১০ বছরে এসব চুক্তি বাস্তবায়ন হবে। যার মূল্যমান ৩৮ হাজার কোটি ডলারেরও বেশি।

টিলারসন জানান, ২০টি বৃহৎ মার্কিন কোম্পানিকে সৌদিতে সরাসরি বিনিয়োগের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর ফলে সৌদিতে মার্কিন পণ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়বে। এতে রিয়াদ উপকৃত হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম এবং অন্যান্য সহযোগিতা, সৌদি এবং পুরো উপসাগরীয় অঞ্চলকে নিরাপত্তা দেবে। বিশেষ করে ইরানের হুমকির মুখে সৌদি আরবের প্রতিরক্ষা জোরদার করা খুবই জরুরি।

হোয়াইট হাউস জানায়, ‘সৌদি আরবের সঙ্গে স্বাক্ষরিত অস্ত্রচুক্তির মূল্যমান ১১ হাজার কোটি ডলার। এটি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় একক অস্ত্রচুক্তি।