জোটের দাবি বাস্তবায়ন অযোগ্য : কাতার

কাতার সংকট নিরসনে সৌদি আরবের নেতৃত্বে মধ্যপ্রাচ্যের চারটি দেশের দেয়া শর্ত বাস্তবতা বিবর্জিত এবং বাস্তবায়ন অযোগ্য বলে জানিয়েছে দোহা। ১৩ শর্ত সম্বলিত ওই তালিকা বৃহস্পতিবার কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এসে পৌঁছেছে। খবর আল জাজিরার।

এই শর্তগুলোর বিষয়ে অনেক আগে থেকেই কাতারের অবস্থান পরিষ্কারভাবে জানানো হয়েছে। জঙ্গিবাদ সমর্থনের কথা বলে অবৈধভাবে আমাদের স্বার্বভৌমত্ব সংকুচিত করা হচ্ছে; আমাদের পররাষ্ট্রনীতির ব্যাপারেও এটা হস্তক্ষেপ। কাতার সরকারের জনসংযোগ দফতরের পরিচালক শেখ সাইফ আল-সানি শুক্রবার এক বিবৃতিতে এসব কথা জানান।

তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন সম্প্রতি অবরোধের ব্যাপারে যুক্তিযুক্ত ও পদক্ষেপমূলক চুক্তির তালিকা তৈরির আহ্বান জানিয়েছিলেন। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীও দাবি জানিয়েছিলেন পরিমিত ও বাস্তবসম্মত দাবি উপস্থাপনের। কিন্তু একপেষে এই তালিকা আমাদের সন্তুষ্ট করতে পারেনি।

আঞ্চলিক নিরাপত্তার স্বার্থে বাস্তবসম্মত না হওয়া সত্ত্বেও প্রস্তাবের প্রতি সম্মান জানানোর জন্য এগুলো বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় খুব শিগগিরই এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাবে বলেও জানান তিনি।

কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের পর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার শর্ত দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের চার দেশ। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসর ও বাহরাইন এজন্য কাতারকে ১৩ টি শর্ত দিয়েছে। দাবিগুলো মেনে নেয়ার জন্য বেঁধে দেয়া হয়েছে কাতারকে ১০ দিনের সময়। দাবির তালিকা কুয়েতের মাধ্যমে দোহার কাছে পাঠানো হয়েছে। কুয়েত কাতার-সংকট নিরসনে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালনের কথা জানিয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৫ জুন সৌদি আরবের নেতৃত্বে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন শুরু হয়। মুসলিম ব্রাদারহুড, আল কায়েদা, ইসলামিক স্টেট (আইএস) সহ অন্যান্য জঙ্গি গোষ্ঠীকে সমর্থন ও অর্থায়নের অভিযোগে মোট নয়টি দেশ দোহার সঙ্গে তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। তবে জঙ্গি গোষ্ঠীকে সমর্থনের সেই অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে কাতার।