স্বামীকে তালাক দিয়ে হাজার কোটি টাকার মালিক

স্বামীর সম্পদে যে স্ত্রীর অধিকার আছে তা ফের প্রমাণ করল যুক্তরাজ্যের আদালত। শুধু স্ত্রী থাকাকালীন নয়, তালাকের পরেও সম্পদের অধিকার দিতে হয়েছে এক ব্যবসায়ী স্বামীকে। দেয়া অর্থের পরিমাণও কম নয়। স্বামীর মোট সম্পদের প্রায় অর্ধেক দিয়ে দিতে হয়েছে সাবেক স্ত্রীকে।

আদালতের ঠিক করে দেয়া এ অর্থের পরিমাণ হচ্ছে ৫৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার। স্থানীয় মুদ্রায় যা ৪ হাজার ৬৭৫ কোটি টাকা। এতে ফেঁসে গেছেন রাশিয়ার এক কোটিপতি স্বামী। প্রথমে এত বিপুল পরিমাণ অর্থের ব্যাপারে বাহাস চললেও, শেষে আদালতের নির্দেশ গেছে স্ত্রীর পক্ষেই। বিবাহ বিচ্ছেদের মামলায় এটি যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অঙ্কের ক্ষতিপূরণ প্রদানের ঘটনা।

বিচারক হ্যাডন কেভ বৃহস্পতিবার (১১ মে) এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বলা হয়, মস্কোতে বিয়ে করেছিলেন এ দম্পতি। ১৯৮৯ সালে তাঁদের প্রথম দেখা হয়েছিল। এর চার বছর পর তাঁর বিয়ে করেন। ওই নারী মূলত পূর্ব ইউরোপের বাসিন্দা হলেও পড়াশোনার জন্য গিয়েছিলেন মস্কো।

বিয়ের কিছুদিন পরই এ দম্পতি যুক্তরাজ্যে চলে যান এবং দক্ষিণাঞ্চলের সারেতে বসবাস শুরু করেন। তাঁদের দুটি সন্তানও হয়। আদালত বিবাহ বিচ্ছেদের মামলায় বাদী ও বিবাদীর নাম-পরিচয় প্রকাশ করায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। তাই তাদের ছবি প্রকাশ করেনি গণমাধ্যম। প্রায় পাঁচ বছর আগে ৬১ বছর বয়সী ওই রুশ কোটিপতি একটি কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করে ১৩০ কোটি ডলার আয় করেন। এর এক বছর পর সন্তানদের জন্য লন্ডনে একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাটও কেনেন তিনি।

কোটিপতির স্ত্রী এখন মধ্যবয়সী। ১৫ বছর আগে যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব পান তিনি। সম্প্রতি দুজনে বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করেন এবং ওই নারী তার সাবেক স্বামীর সম্পদের মালিকানা দাবি করেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ রায় দেন।

ওই রুশ ব্যক্তি অবশ্য আদালতকে বলেছিলেন, বংশগতভাবেই ধনী তিনি এবং এর সমৃদ্ধিতে তার অবদানই বেশি। কিন্তু সেই যুক্তির বিপরীতে বিচারক বলেন, তার স্ত্রীও পরিবারের উন্নতিতে সমান ভূমিকা রেখেছেন। তাই সম্পত্তিতে তারও অধিকার আছে।