স্বামীর অনুপস্থিতিতে ফেসবুকে প্রেম! প্রেমিকের প্রথম দর্শনেই গৃহবধূর সর্বনাশ

পেশার তাগিদে স্বামীকে বাড়ির বাইরে থাকতে হয়। একাকিত্ব কাটাতেই তাই স্ত্রীর ভরসা ফেসবুক। সেই সূত্রেই আলাপ এক যুবকের সঙ্গে, ধীরে ধীরে বাড়ল ঘনিষ্ঠতা। নাম আবার সালমান। মহিলা ভেবেছিলেন, যেমন নাম, দেখতেও নিশ্চয়ই সেরকমই সুদর্শন হবেন প্রেমিক। কিন্তু মুখোমুখি দেখা হতেই যে যাবতীয় ধারণা ভেঙে চুরমার হয়ে গেল। আর তার জেরেই বিপত্তি।

ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের ইলাহাবাদে। একটি সর্বভারতীয় দৈনিকের খবর অনুযায়ী, ইলাবাহাদের এক রেলকর্মীর স্ত্রী ফেসবুকের মাধ্যমে আলাপ হওয়া প্রেমিককে বিশ্বাস করেই ঠকেছেন। রেলের ড্রাইভার স্বামীর সঙ্গে স্থানীয় ঘনশ্যাম কলোনির সরকারি কোয়ার্টারেই থাকতেন ওই মহিলা। তিন বছর আগে বিয়ে হয় দু’জনের। স্বামী কাজের সূত্রে নিয়মিত বাইরে যেতেন।

ছ’মাস আগে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলেন ওই মহিলা। এর পরেই ফেসবুকে সালমান নামে এক যুবকের সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। ক্রমেই বাড়ে ঘনিষ্ঠতা। ফেসবুকে মেসেজ, ছবি চালাচালিও হয়। ফেসবুকেই বন্ধুত্ব প্রেমে পরিণত হতেও সময় লাগেনি। এর পরে ফোনও দু’জনের কথাবার্তা শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত দু’জনে দেখা করার সিদ্ধান্ত নেন। আর তাতেই ঘটল বিপত্তি।

গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সালমান ওই গৃহবধূকে ইলাহাবাদের সিভিল লাইন্স এলাকায় দেখা করার জন্য ডেকে পাঠায়। সেখানে গিয়ে প্রথমবার সালমানকে দেখেই ওই গৃহবধূ আকাশ থেকে পড়েন। কারণ ছবিতে দেখা সালমানের সঙ্গে বাস্তবের সালমানের যে কোনও মিলই নেই। তখনই ওই মহিলা জানতে পারেন, সালমান কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত। যার ফলে তার সারা শরীর সাদা হয়ে গিয়েছে।

ক্ষুব্ধ মহিলা সালমানকে কাছে জানতে চান, সে কেন তাকে অন্য ছবি পাঠিয়েছিল? এই নিয়েই দু’জনের বচসা শুরু হয়। তখনই গৃহবধূর হাত চেপে ধরে সালমান। হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করতেই মহিলার সঙ্গে আরও অশ্লীল আচরণ করতে শুরু করে ওই যুবক। বাঁচার জন্য মহিলা চিৎকার করতেই লোকজন জড়ো হয়ে যায়। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। শেষ পর্যন্ত পুলিশ এসে দু’জনকেই থানায় নিয়ে যায়।

পুলিশ জানিয়েছে, কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত হয়েছিল সালমান। ফেসবুক এবং হোয়াটসঅ্যাপে নিজের প্রোফাইল পিকচারে অন্য ছবি ব্যবহার করত সে। ওই গৃহবধূর অভিযোগের ভিত্তিতে সালমানের বিরুদ্ধে প্রতারণা, শ্লীলতাহানি এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আপাতত ওই ফেসবুক প্রেমিকের জেলেই ঠাঁই হয়েছে। এদিকে, সর্বনাশ হয়েছে গৃহবধুর। শ্বশুরবাড়ি লোকজন এমনকি বিশ্বাসঘাতকতার অপরাধে স্বামীও তার সাথে সম্পর্ক রাখতে চাইছেন না।