স্বামী আ. লীগে, স্ত্রী যুব মহিলা লীগে

এক বছর ধরে সুখের সাগরে আওয়ামী লীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন। গত অক্টোবরে দলের জাতীয় সম্মেলনের পর তিনি পেয়েছেন বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদকের পদ। বিয়ে করেছেন মাস তিনেক আগে। এবার তার স্ত্রী শারমিন সুলতানা লিলি পেয়েছেন দলের সহযোগী সংগঠন যুব মহিলা লীগের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। যুব মহিলা লীগের সদ্য ঘোষিত কমিটিতে লিলিকে সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

লিলি-দেলোয়ারে মিল আরেক জায়গায় ছাত্রলীগ থেকেই দুজনের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু হয়। চলতি বছরের ২২ এপ্রিল তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন দেলোয়ার। পরে আসেন মূল দলে।

লিলিরও রাজনৈতিক জীবনের শুরু ছাত্রলীগ দিয়েই। চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কমিটির সভাপতি ছিলেন দেলোয়ার, সেই কমিটিতে ছিলেন তিনিও। তখন রোকেয়া হল শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। পরে ছাত্রলীগের বদিউজ্জামান সোহাগ ও সিদ্দিকী নাজমুল আলমের কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি।

ছাত্রজীবন শেষে ছাত্রলীগ ছেড়ে যুবলীগে যোগ দেন লিলি। ছাত্র সংগঠনের মতই যুব সংগঠনেও দক্ষতার পরিচয় দেন তিনি। দায়িত্ব পান সহ সম্পাদকের। এরপর সংগঠনটির নতুন সম্মেলনে তাকে সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়।

শারমিন সুলতানা লিলি বিএনপি জোট সরকার বিরোধী আন্দোলনে রাজপথে সক্রিয় ছিলেন। এছাড়াও একএগারো সরকার বিরোধী আন্দোলনেও সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা মুক্তির আন্দোলেন তিনি সামনের সারিতে ছিলেন। ২০১৫ সালে ছাত্রলীগের সম্মেলনের পর তিনি দায়িত্ব ছাড়েন।

জানতে চাইলে শারমিন সুলতানা লিলি বলেন, আমি রাজনৈতিক কর্মী। আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে ছিলাম। একজন রাজনৈতিক কর্মীকে জননেত্রী শেখ হাসিনা মূল্যায়ন করেছেন। এজন্য আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞ।’

আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমরা দুইজনই রাজনৈতিক কর্মী। মাঠে ময়দানে দলের জন্য কাজ করেছি। এখানে পারিবারিক বিবেচনায় নয়, রাজনৈতিক বিবেচনায় দুইজনকে দলীয় পদ দেয়া হয়েছে।

রাজনীতিতে দম্পতি অবশ্য এবারই নতুন নয়। আওয়ামী লীগেই আছে অসীম কুমার উকিল ও যুব মহিলী লীগের সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল। বিএনপিতেও আছেন মির্জা আব্বাস ও আফরোজা আব্বাস জুটি। আছেন খায়রুল কবির খোকন ও শিরিন সুলতানা। আরও আছেন হারুনুর রশিদ ও সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া