হঠাৎ গ্যাস সরবরাহ বন্ধে ভোগান্তি

ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে সচিবালয়সহ সরকারি সব অফিস খুলছে বুধবার। পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদ উদযাপন করে মঙ্গলবার থেকেই রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছেন অনেকে। তবে রাজধানীতে ফিরে সিএনজি অটোরিকশা সংকটে পড়েছেন অনেকে। বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র সংস্কারের জন্য মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে ২৪ ঘণ্টা তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশনের সেবা বন্ধ রয়েছে।

এ অবস্থায় সিএনজি ফিলিং স্টেশনে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন অনেকেই। রাত থেকেই রাজধানীর সড়কগুলোতে সিএনজিচালিত অটোরিকশা কমে গেছে। ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারকারীরাও পড়েছেন বিপাকে।

তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, জরুরি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ড মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে বুধবার রাত ১২টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এই সময় গ্যাস সরবরাহ থাকবে না। তাই তিতাসের আওতাভুক্ত সিএনজি স্টেশনও ২৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে।

সাময়িক অসুবিধার জন্য তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ গ্রাহকদের কাছে দুঃখ প্রকাশও করে। তারা জানায়, ঈদে যাত্রী সাধারণের নির্বিঘ্নে চলাচলে ২৩ জুন থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা সিএনজি স্টেশন খোলা রাখা হচ্ছে।

তবে বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ডের জরুরি রক্ষণাবেক্ষণের কারণে একদিন গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হবে। তাই সিএনজি স্টেশনও বন্ধ থাকবে। তবে বুধবার রাত ১২টা থেকে ফের ৩ জুলাই পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা সিএনজি স্টেশন খোলা থাকবে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খণিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা আসলাম উদ্দিন জানান, বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রের সংস্কার কাজ প্রতি বছরই হয়। এবারের কার্যক্রমও পূর্বনির্ধারিত। ঈদের আগে জনগণকে এ বিষয়টি জানাতে ছয়টি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে।

সংস্কারের জন্য এ সময়কে বেছে নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঈদের সময়টাতে দেশের কলকারখানা বন্ধ থাকে। বাসাবাড়ির চেয়ে লোকজন গ্রামেই অবস্থান করেন বেশি। তাই এ সময়ে সংস্কার কাজ করা হবে।

এদিকে হঠাৎ করে ফিলিং স্টেশনে গাড়িতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ায় ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে অনেককেই। মঙ্গলবার রাতে এই ঘোষণা আসার পর গ্যাসের জন্য সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোতে ভিড় লেগে যায়। কিন্তু রাত ১২টায় স্টেশনগুলো বন্ধ করে দেওয়ায় গ্যাস না পেয়েই অনেককে ফিরতে হয়।

সিএনজি চালক নূরে আলম বলেন, ‘পরিবারের সাথে ঈদ না কইরা কিছু আয়ের আশায় রাস্তায় বাইর হইছি। এখন যদি এইটা বন্ধ হয়ে যায় তাইলে সারাদিন বইসা কাটাইতে হইবো। কি আর করুম!’

সিএনজি স্টেশনের কর্মকর্তারা বলেন, অনেকেই গাড়ি নিয়ে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। সরবরাহ বন্ধ থাকলে তো গ্যাস দেয়া সম্ভব নয়।