হাইওয়েতে গাড়ির চাকা পাংচার করে ৪ নারীকে গণধর্ষণ

ভারতে একজন ৫০ বছর বয়সী নারীসহ একই পরিবারের চার জন ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ওই পরিবারের এক পুরুষ সদস্যকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। হাইওয়েতে ধাতব বস্তু ফেলে গাড়ির চাকা পাংচার করার পর সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা এই লোমহর্ষক ঘটনা ঘটায়। খবর দ্য হিন্দুর।

২৪ মে দিবাগত রাতে উত্তরপ্রদেশের জিওয়ার-বুলন্দশহর হাইওয়েতে এই লোমহর্ষক ঘটনাটি ঘটেছে। পুরো পরিবারের সকল জিনিসপত্রও নিয়ে গিয়েছে ধর্ষকরা। ধর্ষণের শিকার নারীদেরকে নৈদা জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

আট সদস্যের ওই পরিবারটি তাদের একজন অসুস্থ আত্মীয়কে দেখার জন্য বৃহত্তর নৈদার জিওয়ার এলাকা থেকে বুলন্দশহর যাচ্ছিলেন। রাত দেড়টার দিকে জিওয়ারের সাবোতা গ্রাম থেকে ২০০ মিটার দূরে তাদের গাড়ির চাকা পাংচার হয়ে যায়। কী কারণে গাড়ির চাকা পাংচার হলো সেটা দেখার জন্য পরিবারের কয়েকজন সদস্য গাড়ির বাইরে বের হয়। তখন তারা দেখে রাস্তায় ধাতব বস্তুর সাথে আঘাত লেগে চাকা পাংচার হয়ে গেছে। এরই মধ্যে ছয়জন সশস্ত্র লোক তাদের গাড়ি ঘিরে ফেলে। তারপর গাড়ি থেকে নারীদেরকে বের করে আনে এবং তাদের গণধর্ষণ করে। পরিবারের নারী সদস্যদেরকে রক্ষা করতে চাইলে ৪৫ বছর বয়সী এক পুরুষ সদস্যকে গুলি করে হত্যা করে ধর্ষকরা।
সেই লোমহর্ষক কাজ শেষে অপরাধীচক্র তাদের সাথে থাকা সকল জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। এনডিটিভি জানায় নারীদের গয়নাগাঁটি ও সাথে থাকা ৪৪ হাজার রুপি নিয়ে যায় অপরাধীরা

সেই পরিবার জানায় গাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে পুলিশকে ফোন করেছিলেন তারা। গাড়ি থেমে যাওয়াতে তারা সন্দেহজনক কিছু ঘটার আশঙ্কা করছিলেন। কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছতে এক ঘণ্টা সময় নেয়। সেই পরিবারের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ এক ঘন্টায় ৫০ বছর বয়সী এক নারীসহ চার নারী ধর্ষিত হয়। তাতে বাধা দেওয়ায় ৪৫ বছর বয়সী অপর পুরুষ সদস্যকে গুলি করে মারা হয়।

এই ঘটনাটি একই হাইওয়েতে গত বছরের আরেকটি ধর্ষণের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। গত বছর একটি পরিবার একই ধরণের অপরাধী চক্রের হাতে পড়েছিল। গাড়ি থামিয়ে মা ও ১৩ বছর বয়সী নারীকে বের করে আনে এবং পাশের জমিতে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করেছিল। তখন পরিবারের পুরুষ সদস্যদেরকে বেধে রেখে পেটানো হয়েছিল।

ঘটনাটি অখিলেশ যাদব নেতৃত্বাধীন সমাজবাদী পার্টির পতনের ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছিল। গত মার্চের নির্বাচনে বিজেপির যোগী আদিত্যনাথ নির্বাচিত হন। ভারতের সবচেয়ে বড় এই প্রদেশটির মহাসড়কগুলো অপরাধের উর্বর ক্ষেত্র। রাস্তায় লুটপাট, ডাকাতি নিয়মিত ঘটনা। তবে এই গণধর্ষণের ঘটনাটি বিজেপির জন্য একটি বড় ধাক্কা হিসেবেই দেখা দিবে বলে মনে করা হচ্ছে।