হোটেলে যখন একা, মেনে চলুন কিছু বিষয়

অনেকে আছেন, যাঁরা একা ব্যবসায়িক কাজ বা ঘুরতে গিয়ে থাকার জন্য হোটেল বেছে নেন। নিজের আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী বিভিন্ন রকম হোটেলে ওঠেন। তবে হোটেলে ওঠার পর কখনো কখনো বিভিন্নরকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়, যা সুন্দর মন-মানসিকতাকে বিপর্যস্ত করে ফেলে। সে জন্য সব সময় হোটেল ওঠার আগে নিরাপত্তার বিষয়ে সচেতন হতে হয়। সামান্য কিছু বিষয়ে সচেতন থাকলে আপনাকে অপ্রত্যাশিত কোনো ঘটনার সম্মুখীন হতে হবে না। ‘মাদাম নোয়া’ ওয়েবসাইটে দেওয়া কিছু পরামর্শ নিচে দেওয়া হলো :

নিরাপদ হোটেল নির্বাচন করুন

আপনি যখন হোটেলে একা থাকার সিদ্ধান্ত নেবেন, তখন অবশ্যই সবার আগে নিরাপদ হোটেলের খোঁজ করুন। আপনি টাকা দিয়ে দামি হোটেল থাকলেন; কিন্তু নিরাপত্তা ভালো না, তখন কিন্তু সমূহ বিপদ। জানার চেষ্টা করুন হোটেলের নিরাপত্তাকর্মীরা ২৪ ঘণ্টার জন্য তৎপর আছে কি না।

দুই বিছানার কক্ষ ভাড়া করুন

দুই বিছানার কক্ষ ভাড়া নিলে আপনি অনেকটা নিরাপদ থাকবেন। কারণ, অন্যরা মনে করবে আপনি একা নন। সঙ্গে কেউ আছে। এটা একটি কৌশল বলতে পারেন।

নিচতলায় অবস্থান করবেন না

সন্ত্রাসীরা সব সময় নিচতলায় আক্রমণ করে থাকে। কারণ, এটি তাদের জন্য সহজ। এ জন্য নিচতলার কক্ষ এড়িয়ে চলা উচিত নিজের নিরাপত্তার জন্য।

খুব উঁচুতে অবস্থান করবেন না

আবার খুব উঁচুতে অবস্থান করবেন না। এর কারণ বাথরুমে জানালা অথবা ঘরের জানালা দিয়ে কেউ প্রবেশ করলে আপনি চিৎকার করলে কেউ শুনতে পাবে না।

ম্যানেজারকে কক্ষ নম্বর গোপন রাখতে বলুন

আপনি যখন হোটেল কক্ষ থেকে বাইরে যাবেন, তখন ম্যানেজারের কাছে চাবি জমা দেওয়ার সময় রুম নম্বর জানতে চাইলে আস্তে বলবেন। যেন অপর কেউ শুনতে না পারে। সেই সঙ্গে ম্যানেজার যেন অন্য কাউকে কক্ষ নম্বরের কথা না বলে, সেটা বলে দিন।

বাইরে হোটেলের নাম উচ্চারণ করবেন না

নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে হোটেলের বাইরে অপরিচিত কাউকে হোটেলের নাম বলা থেকে বিরত থাকুন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সচেতন হোন

কোথায় আছেন? কোন হোটেলে আছেন? এসব বিষয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করবেন না।

কেউ আপনাকে অনুসরণ করলে হোটেল কক্ষে ঢুকবেন না

হোটেলে ঢোকার পর নিজের কক্ষের সামনে যাওয়ার সময় যদি কেউ আপনাকে অনুসরণ করছে মনে হলে আপনি হাঁটা বন্ধ করবেন না। হাঁটতে হাঁটতে সোজা লিফটে চলে যান।

আপনার জিনিসপত্র গচ্ছিত রাখুন

হোটেলের নিরাপত্তাকর্মী আপনার কক্ষ পরিষ্কার করতে এলে সচেতন থাকুন। সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় জিনিস নিজের জিম্মায় রাখুন। একটু সাবধানে গুরুত্বপূর্ণ ও দামি জিনিস রাখবেন, যেন সহজে কারো নজরে না পড়ে।