২১ বছর গোপনে বিমান চালান ডাচ রাজা

নেদারল্যান্ডসের রয়াল ডাচ এয়ারলাইন্স কেএলএম-এর বিমানের ককপিটে দেশটির রাজাকে দেখলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। তিনি গত ২১ বছর ধরে নাকি সেই বিমানসংস্থাটির বিমান চালিয়েছেন।

ভর্তুকি দিয়ে চলা দেশটির জাতীয় এই বিমানসংস্থাটির বিমান চালনাকে নিজের পার্ট টাইম জব ও ‘শখ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন রাজা উইলেম আলেক্সান্ডার। দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে পাইলটের দায়িত্ব পালন করা ডাচ রাজা তার এই গোপন কথাটি জানিয়েছেন দে টেলিগ্রাফ নামে একটি ডাচ পত্রিকায়।

কেএলএম বিমানসংস্থার বিমান চালনার আগে তিনি মার্টিনএয়ার-এর বিমান চালিয়েছিলেন।

ডাচ সংবাদপত্রের সাথে সেই সাক্ষাৎকারে ডাচ রাজা বলেন ইউরোপের ছোট দূরত্বের ফ্লাইটে কো-পাইলটের চেয়ারে নিয়মিত বসতেন। রাজকীয় দায়িত্বের চাপ থেকে বাঁচার জন্য মাসে অন্তত দুইবার ইউরোপের ফ্লাইটে বসতেন।

বিমানচালনার অভিজ্ঞতা নিয়ে রাজা উইলেম আলেক্সান্ডার বলেন, ‘আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে আমার এমন একটি শখ আছে যার জন্য আমাকে পুরোপুরি মনোযোগ দিতে হয়। বিমানের ককপিটে যখন বসি তখন ভাবনা শুধু বিমানটি, যাত্রী ও ক্রুদের নিয়ে।

তাদের প্রতি আপনার দায়িত্ব রয়েছে। রাষ্ট্রের সমস্যা নিয়ে আকাশে উড়া যায় না। তখন কোন একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের জন্য আপনাকে পুরো বিচ্ছিন্ন করতে পারেন রাজকীয় দায়িত্ব থেকে। আমার কাছে ফ্লায়িংয়ের এটা হচ্ছে সবচেয়ে মজার দিক।’

ডাচ রাজা উইলেম আলেক্সান্ডার তার আরেকটি গোপন কথা ফাঁস করেন যে তিনি বোয়িং ৭৩৭ চালনার প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। খুব শীঘ্রই হয়তো বোয়িং ৭৩৭ এর ককপিটে দেখা যাবে রাজাকে!

আকাশপথে উড়ার শখ তৈরি হয় ত্রিশ বছর আগে রাজা যখন ছাত্র ছিলেন। আশির দশকে স্বেচ্ছাসেবী পাইলট হিসেবে কেনিয়া গিয়েছিলেন তরুণ উইলেম আলেক্সান্ডার।

সিএনএন তাদের একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিমানচালনায় ডাচ রাজাই প্রথম রাজ পরিবারের সদস্য নন। ব্রিটেনের রাজ সিংহাসনের উত্তরাধিকারী প্রিন্স চার্লস ও একজন দক্ষ পাইলট। তার দুই ছেলে প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্স হ্যারিও তাদের মিলিটারি ক্যারিয়ারে হেলিকপ্টার চালিয়েছেন।

ব্রুনেইয়ের সুলতান হাসানাল বলকিয়াও রাষ্ট্রীয় সফরকালে মাঝে মাঝে ককপিটে বসে যান বলে জানা যায়।