৫০ ভাগ নারী অনাকাঙ্ক্ষিত স্পর্শের শিকার

বাংলাদেশে ৫০ ভাগ নারী মার্কেটে ও বাজারে অনাকাঙ্ক্ষিত স্পর্শ বা এ ধরনের ঘটনার শিকার হন। এছাড়া হাসপাতালে গিয়ে ৪২ শতাংশের বেশি নারী সেবা প্রদানকারীদের কাছ থেকে দুর্ব্যবহারের শিকার হন। ৩০ ভাগ নারী পুলিশ স্টেশনে উত্ত্যক্তের শিকার হন। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন শতকরা ৩৫ ভাগ নারী।

গতকাল রোববার (১৬ জুলাই) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে সংগঠনটির আয়োজিত এক সভায় গবেষণার এ ফলাফল উপস্থাপন করেন অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের ব্যবস্থাপক নুজহাত জেবিন।

বেসরকারি আন্তর্জাতিক সংগঠন অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ ‘গণপরিসরে নারীর প্রতি সহিংসতার প্রেক্ষিতে গণসেবা’ নামক গবেষণা ফল এটি।

গত বছরের গোড়ার দিকে খুলনা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের পুলিশ প্রশাসন, সিটি করপোরেশন, পরিবহন কর্তৃপক্ষ, বাজার ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এবং হাসপাতাল সেবা নিয়ে ৪০০ মানুষের ওপর এ গবেষণাটি করা হয়।

গবেষণা বলছে, বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। সভায় অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের পরিচালক আজগর আলী সাবরি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে গণসেবা নিশ্চিত করতে অর্থায়ন ও বিনিয়োগ বাড়ানোর সুপারিশ করেন।

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাবেক জ্যেষ্ঠ গবেষক প্রতিমা পাল মজুমদার বলেন, গণসেবা নিশ্চিত করতে রাজস্ব আয় বাড়ানোর নতুন উদ্ভাবনী কৌশলের পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারত্বের বিষয়টিতে গুরুত্ব দিতে হবে।

সভায় জানানো হয়েছে, কার্যকরী গণসেবা নিশ্চিত করতে গত ২৩ জুন থেকে দেশব্যাপী ‘গণসেবা প্রচারাভিযান’ পরিচালনা করে অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ। মতবিনিময় সভার মধ্য দিয়ে ২৪ দিনের এই প্রচারাভিযান শেষ হয়। এ সভার আগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণসেবা নিশ্চিত করার দাবিতে গণমিছিল করেন অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।